সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ টাকা জরিমানা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৩:৫০ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০

ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার [ফাইল ছবি]

জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে জরিমানা হিসেবে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন। 

সোমবার (১৩ মার্চ) ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার জন্য আমরা সোনালী ব্যাংকের চালান কপি পূরণ করেছি। আশা করছি, আজই জমা দিয়ে দেবো।’

ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আগারগাঁও থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটি (১৪/২০১৯) মামলায় জমির উদ্দিনকে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জরিমানা অর্থ সরকারি কোষাগারে জরিমানা হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় জরিমানার টাকা জমা দিলে বাকি চার মামলা থেকেও তিনি খালাস পাবেন বলে বিচারক আদেশ উল্লেখ করেন।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ এ রায় দেন। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

এসব মামলায় অন্য তিন আসামি হলেন- বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।

এ মামলা বাতিলের আবেদন করলে ২০১৬ সালের ১৮ মে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতির গঠিত একক বেঞ্চ মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন। এর পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।

বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাবপত্র কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।

পরে এ পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নেন। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন।

হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত