সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৬
সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঘনীভূত হতে হতে শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘দানায়’ পরিণত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। তবে এই ঝড় নিয়ে শঙ্কার কারণ দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা যেহেতু এখন পর্যন্ত এর গতিপথ ভারতের উপকূলের দিকে।
প্রসঙ্গত, এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে কাতার। ‘দানা’ নামের অর্থ মুক্ত বা স্বাধীনতা।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় দানায় পরিণত হয়েছে। এটি আজ বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সতর্ক সংকেত ১ ও ২ এর অর্থ হলো– বন্দর এখনই ঝড়ের কবলে পড়বে না, তবে বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়তে পারে। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলতে হবে, যাতে স্বল্প সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারে। দেশের নদী ও সমুদ্রবন্দর এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য ঝড়ের সংকেত শুরু হয় স্থানীয় সতর্ক সংকেত ৩ থেকে।
আবহাওয়া বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, ফুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন জানান, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভুত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত