সাক্ষীর অভাবে রামুর বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪০ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৪

ফাইল ছবি

আজ ২৯শে সেপ্টেম্বর। কক্সবাজারের রামু ট্রাজেডির ১০ বছর। ২০১২ সালের আজকের এইদিনে সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের রামুতে আলোচিত সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়েছিল।

যেদিন উত্তম বড়ুয়া নামের এক যুবকের ফেসবুক আইডিতে কোরআন শরীফ অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগ তুলে উস্কানিমূলক মিছিল সহকারে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা চালিয়ে বিহারে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফে ১৩টি বৌদ্ধ বিহার এবং ৩০টি বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

২০১২ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর রাতের ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে এজাহারভুক্ত ৩৭৫ জন এবং অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ১৬ হাজার জনকে আসামি করে ১৮টি মামলা করে। পরবর্তীতে এসব মামলায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি  মানুষকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয় পুলিশ। কিন্তু ১০ পার হলেও এখনো পর্যন্ত একটি মামলার বিচার কাজ শেষ হয়নি। তারা বলেছেন, এখন বিচারের নামে নিরপরাধ কোন ব্যক্তি হয়রানি হোক তা চান না তারা। তারা চান শান্তি ও সম্প্রীতি। 

এ বিষয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা কেতন বড়ুয়া জানান, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে রামুতে মিছিল, মিটিং হয়েছে। অনেকেই চেনা গেছে। কিন্তু মামলার পরবর্তী যে প্রক্রিয়া তাতে অনেক চিহ্নিত ব্যক্তি যেমন বাদ পড়েছে তেমনি নিরপরাধ অনেকেই হয়রানি হতে দেখা গেছে। বৌদ্ধ শান্তির ধর্ম। এখনে সকলেই শান্তি চান। 

কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক ভিক্ষুক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু জানান, আলোচিত এ হামলার ঘটনায় এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা অনেকটা ঘুচিয়েছে। এটা ধারাবাহিক রক্ষা করা জরুরি। বিচারের নামে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা জরুরি। এটা করতে গিয়ে নিরপরাধ কেউ হয়রানিতে শিকার হোক তা কোনভাবেই কাম্য নয়। 

কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৯টি। এরমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ১৮টি মামলা করেন। অপর একটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করলেও পরবর্তীতে বিবাদীদের সঙ্গে আপোষনামা দিয়ে খালাস করেছেন। বিচারাধীন ১৮টি মামলায় সাক্ষী না পাওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত