লৌহজং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়া কোন প্রটকলের মধ্যে পড়ে না

  লৌহজং হতে সংবাদাতা

প্রকাশ: ১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:২৮ |  আপডেট  : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৪

জাটকা সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে র‌্যালি ও পথ সভায় প্রেসক্লাব বা সাংবাদিকদের অমন্ত্রণ জানানো কোন প্রটকলের মধ্যে পড়েনা। সাংবাদিকদে দাওয়াত দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। জাটকা সপ্তাহের র‌্যালি ও পথ সভার দাওয়াত দেয়া নিয়ে- এরকম কথাই বলেছেন লৌহজং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।

শনিবার সারা দেশে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে লৌহজং উপজেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে একটি র‌্যালি ও পথ সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু লৌহজংয়ে বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবসহ কয়েকটি প্রেসক্লাব থাকলেও প্রেসক্লাবগুলোকে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের এ র‌্যালি ও পথ সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদিকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

জানা যায়, এই মৎস্য কর্মকর্তা লৌহজংয়ে আসার পর তিনি তার ইচ্ছে মতই কাজ করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের অভিযানে সেবক জাটকা জব্দ করা হয়, তা বিতরণে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে কোস্টগার্ডের অভিযানে পদ্মা সেতুর কাছে দুটি বড় জাটকা মাছের চালান জব্দ করা হয়। গত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার ৬ হাজার ১ শ’ কেজি ও  ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ৭ হাজার ৮শ’ কেজি জাটাকা জব্দ করে কোস্ট গার্ড। পরবর্তীতে কোস্টগাডের্র প্রেস রিলিজে বলা হয় উপজেলা মৎস্য কর্তকর্তা বা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জাটকাগুলো বিভিন্ন এতিমখানা, মাদ্রাসা ও গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়। ৬ ও ৭ টন জাটকা মাছ কোন কোন মাদ্রাসায় বিলিয়ে দেয়া হয়েছে তার কোন উল্লেখ নেই। এই জাটকা নাম মাত্র বিলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাকী জাটকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কি করেছেন তা জানা সম্ভব হয়নি। অনিয়মের মধ্যে এ মাছ সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে স্থানীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  তাছাড়া এসকল মাছ যখন বিতরণ করা হয়, তখন স্থানীয় সাংবাদিকদের তা না জানিয়ে পরে একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বলা হয় জব্দকৃত মাছ বিলিয়ে দেয়া হয়েছে। 

জাটকা সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি- জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকদের দাওয়াত দেওয়ার কোন প্রটকলের মধ্যে নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়েছি। মাছ বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেনি। 

তবে লৌহজংয়ের বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাননি। তাদের প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের এ সংবাদ সংগ্রহরে কোন দাওয়াত দেয়া হয়নি। সমকাল প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ঝিলু জানান, মৎস্য কর্মকর্তা তাকে কোন দাওয়াত দেননি। এ নিয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। সাংবাদিক এম তরিকুল ইসলাম জানান তাকেও মৎস্য অফিস হতে কোন দাওয়াত দেয়া হয়নি।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত