সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবে সেটা বিবেচনা করবো: আইনমন্ত্রী
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১৬:৪১ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৪
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করে, সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবে সেটা বিবেচনা করবো। আমরা সর্বোচ্চ আদালতকে পাস কাটাবো না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ঘৃণ্য ইমডেমনিটি আইন এবং জননেত্রীর কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘একটা প্রশ্ন উঠেছে যে, কোটাতো আদালতের বিষয় না, এটা সরকারের বিষয়। আদালতে যখন একটা জিনিস গেছে, তখন সরকারও আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করে। এরপরে সরকার একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছেন। এরপরে ৭ থেকে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেছেন। আজকে যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারাতো হাইকোর্টে যায়নি! হঠাৎ একদিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। পরবর্তীকালে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ’
এরপর তারা আপিল বিভাগের কাছে গিয়েছে। তখন আপলি বিভাগ থেকে সব প্রতিবাদকারী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য, প্রক্টর মহোদয়কে তাদের শিক্ষার্থীদেরকে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে বলা হয়েছে। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্রছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য এই আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন। আদালত মূল দরখাস্তটি বিবেচনা, নিষ্পত্তিকালে তাদের বক্তব্য বিবেচনায় নেবে।’
সর্বোচ্চ আদালত তাদেরকে এই আশ্বাস পর্যন্ত দিয়েছে। তারপরেও এই আন্দোলন করার কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে? আন্দোলনের যে স্লোগান দেওয়া হয়েছে, সে স্লোগান দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা থাকে?’
তিনি আরও বলেন, ‘যৌক্তিক কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুনবেন। জনগণের যেটা ভালো হয় প্রধানমন্ত্রী সেটা করবেন। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না।’
শিক্ষার্থীদের স্লোগান প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজকে ইনডেমনিটি আইনের ধারাবাহিকতায় আমরা কিন্তু এখন ছাত্রদের মুখে স্লোগানের কথা শুনছি। যারা আন্দোলন করছেন, তারা যদি ‘আমি কে, তুমি কে, আমরা বাঙালি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ এটা বলতেন, তাহলে আমি অবশ্যই বলতাম তারা সঠিক পথে আছে।’’
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন— সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, ইউজিসি'র সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ প্রমুখ।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত