সরকার চাইলে যে কোনো সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি বাতিল করতে পারে

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩১ |  আপডেট  : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৯

বিএনপির মনে রাখতে হবে সরকার চাইলে যে কোনো সময় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল করতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।এ সময় বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকসহ ফোরামের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্ত করছে না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপিকে সরকারকে বহু আগেই ধন্যবাদ দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কারণ বিএনপি নেত্রী খালদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি কিংবা আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। খালদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সাজা স্থগিত করেছেন। সেই কারণে তিনি কারাগারের বাইরে আছেন। এজন্য তো বিএনপির শুকরিয়া আদায় করা উচিত, সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু সরকার যে কোনো সময় চাইলে সেই আদেশ বাতিল করতে পারে। সেই আদেশ যদি আগামীকাল বাতিল হয়, আগামীকালই খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত যেতে হবে। এটিও বিএনপির মনে রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির নেতারা সাড়ে ১২ বছর ধরে এ দাবি করে আসছেন এবং জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জনগণ তো তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। সাড়া দেওয়ার কোনো কারণও নেই। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।  

হাছান মাহমুদ বলেন, যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার একজন পুলিশ কনস্টেবলও বদলি করতে পারে না। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইতোপূর্বে বহু নির্বাচন অত্যন্ত সফলভাবে করেছে। সেজন্য বিএনপিকে বলবো, এ ধরনের ফাঁকা বুলি আউরিয়ে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে।  

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত