সরকারী সহযোগিতার অভাবে কাউনিয়ায় টেপামধুপুর ভায়ারহাটের কুমোরদের দুর্দিন
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৩২ | আপডেট : ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৩
কাউনিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভায়ারহাটের কুমার পাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা তাদের পূর্ব পূরুষের পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক পেশার মতো এ গ্রামের কুমাররাও এতোদিন টিকে ছিলেন নানা প্রতিকুলতার মধ্যে। কিন্তু প্লাস্টিক পণ্যের প্রভাব এটেল মাটি না পাওয়ায় এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, এনজিও গুলোর কড়া সুদে ঋণ, এবং তাদের তৈরী পন্যার চাহিদা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে তারা পেশা বদল করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলায় টেপামধুপুর ইউনিয়নে কুমার পাড়া গ্রামে ১৫-২০টি পাল পরিবার রয়েছে। সবুজ শ্যামল ছায়াঘেরা গ্রামটির শোভা বর্ধন করে পালদের নিপুন হাতে মাটির কলস, চাড়ি, হাঁড়ি, পাতিল, খুঁটিসহ মাটির তৈরী নানা বৈচিত্রের খেলনা সামগ্রী। তাদের তৈরী বাসনপত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে ঠেলাগাড়ী, ভ্যান ও ভারে করে। যান্ত্রিক সভ্যতা যুগে মাটির তৈরী সামগ্রীর পরিবর্তে প্লাস্টিক সামগ্রীর সহজলভ্য দাম কম হওয়ায় তাদের তৈরী জিনিসের চাহিদা আগের
তুলনায় অনেক কমে গেছে।
কুমার পাড়া গ্রামে মেনেকা বালা পাল (৫৭) জানান, আগের মতো তাদের জিনিসের আর কদর নেই। এ পেশায় থেকে এখন আর স্বাবলম্বী হওয়া বড় কঠিন। বিপেন পাল বলেন, এ শিল্পকে ধরে রাখার জন্য পুঁজি আমাদের নেই। বাধ্য হয়ে পেশা ছেড়ে দিতে হবে। অবিনাষ পাল ও লালু পাল বলেন, এনজিও গুলোর কড়া সুদের কারনে ঋণ পাওয়া গেলেও লাভ টিকে না। সরকারী ভাবে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে তারা কোন সহযোগিতা পায় না।
তারা জানান প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্মত মাটির তৈরী পণ্য ব্যবহার কম যাওয়ায় বাড়ছে ক্যানসার সহ নানা ধরনের মরন ব্যাধি। সরকার আমাদের উৎপাদিত পণ্যের আধুনিকায়ন করারা ক্ষেত্রে ঋণ সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করলে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা পাবে অন্যদিকে এ পেশায় কর্মসংস্থান বারবে। টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, পালদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করবো। এশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের নজরদারী প্রয়োজন।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত