সম্প্রীতির বাঁধন কি আলগা হয়ে আসছে?

  অমিত রায় চৌধুরী

প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২২, ১১:৪০ |  আপডেট  : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫

নিকট অতীতে বেশকিছু সাম্প্রদায়িক হিংসার সাক্ষী হয়েছে দেশ; যা কোন বিচ্ছিন্ন কারণে ঘটছে বলে ভাবার কারণ নেই। এ ধরনের ঘটনার সংঘটন ধারাবাহিক, দৃশ্যত পরিকল্পিত ও কার্যত প্রতিকারহীন। ফলে বিভিন্ন শ্রেণীর দুর্বৃত্তরাও এই নৈরাজ্যের ফায়দা নিতে মরিয়া। বিচারহীনতা এদের বড় প্রশ্রয়, বেপরোয়া শক্তির উৎস। এরা এক ধরনের সামাজিক অনুমোদনও পেয়ে যাচ্ছে। অজুহাতের অভাব হচ্ছে না। একদম না পেলেই বা কি এসে যায়? সাম্প্রদায়িকতার চেহারা পাকিস্তান আমলেও এমন ভয়ংকর ছিল না বলেই অনেকে মনে করছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও গণপ্রতিরোধ দেখা গেছে; যা এখন বিস্ময়করভাবে অনুপস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণেও অনেক দ্বিধা-সংকোচ চোখে পড়ছে। প্রো-অ্যাকটিভ পদক্ষেপের অভাব বিভ্রান্তির জায়গা চওড়া করছে। এমনকি এসব ঘটনার নিন্দা প্রকাশেও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর অহেতুক বিলম্ব সমাজের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর প্রতিক্রিয়াও যথেষ্ট কৌশলী মনে হয়। সমস্যার গভীরে যাওয়ার চাইতে রাজনৈতিক মাইলেজ নেয়াতেই আগ্রহ বেশি। গণমাধ্যমের বড় একটি অংশকেও সতর্ক ও সংযতভাবে খবর প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সুশীল সমাজ, বিদ্বজন এমনকি প্রশাসনিক স্তর থেকেও তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি, যা সমাজে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ এ জাতির জন্য এই বিচ্যুতি কতটা মানানসই, তা অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে জন্ম নেয়া জাতিরাষ্ট্রের চরিত্র বদলে দেয়ার সংগঠিত অপ্রচেষ্টার বিপরীতে কার্যকর প্রতিরোধ কেন গড়ে উঠছে না, তা আলোচনা করা জরুরি।

জাতীয় সংসদে চেনামুখ একজন নারী সদস্য সেদিন সামাজিক বিভাজনের বিস্তার প্রসঙ্গে অকপটে স্বীকার করলেন, তার শৈশবের সঙ্গে তিনি বর্তমান সময়কে কিছুতেই মেলাতে পারছেন না। তার মা-খালা-নানিকে তিনি যে বাঙালি আটপৌরে পোশাকে দেখেছেন, তা আজকাল বড় একটা দেখা যায় না। তারা যেভাবে গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্মবোধ অন্তরে লালন করতেন, তাও সত্যি বলতে কি বর্তমান সময়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। নড়াইলের সেলিব্রেটি সংসদ সদস্য হিংসা প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন সত্যি, কিন্তু তার অভিজ্ঞতাটও সুখকর ছিল না। রাজনৈতিক দল, সমাজ বা প্রশাসন-সবখানেই একটা অপ্রকাশ্য পিছুটান ছিল। উসকানি ছড়ায় এমন ধর্মীয় বা সামাজিক প্রচার সংযত করা যায়নি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, শিক্ষকরা বিজ্ঞান, সভ্যতা এমনকি মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও খোলামনে আলোচনা করার সাহস হারাচ্ছেন। এমন অবস্থা দেশকে মধ্যযুগে ধাবিত করার ইঙ্গিত দেয়; যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। যে মুহূর্তে মহাবিশ্বের অচেনা জগত শিক্ষার্থীর সামনে নতুন করে উন্মুক্ত হচ্ছে, এ দেশের ছেলেমেয়েরাও নাসায় এসব ইতিহাস লেখা গবেষণায় কাজ করছে, ঠিক সে সময় এ দেশেরই শিক্ষার্থীকে মধ্যযুগীয় সংস্কারে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার ষড়যন্ত্র টের পাওয়া যাচ্ছে। আর তা কার স্বার্থে তা করা হচ্ছে বলা মুশকিল। দেশের সামর্থ্য নিঃসন্দেহে বেড়েছে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নয়নও বিস্ময়কর। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-কত কি? দারিদ্র্য কমেছে ঠিকই, কিন্তু মনের দারিদ্র্য না ঘুচলে উন্নয়ন তো টেকসই হয় না। আর এ অবস্থার জন্য সমাজের দায় কতখানি তাও বিশ্লেষণ করা দরকার।

 

বিজ্ঞাপণ


অনেকেই ভেবেছিলেন-ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত ইস্যুগুলোর নিষ্পত্তি হয়তো ৭১-ই সম্পন্ন হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষাই ছিল সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ গঠন। ৭০-পূর্ববর্তী সামাজিক চরিত্র কি ’৭২ থেকেই বদলে যেতে শুরু করেছিল-সময়ের এও এক ইতিহাস অন্বেষী জিজ্ঞাসা। অনেকে মনে করেন রাজনীতি ও সমাজে ধর্মের প্রভাব ৭২’ থেকেই শুরু হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধোত্তর নেতৃত্ব যথেষ্ট কার্যকর ন্যারেটিভ, মূল্যবোধ কিংবা শিক্ষায় সমাজকে প্রস্তুত করার সুযোগ বা সময় হয়তো পাননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সাময়িক যে অভাব ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, তাকে পুঁজি করে প্রশাসনে ঘাঁপটি মেরে থাকা পাক এজেন্টরা সমাজমনকে বিষিয়ে তুলতে পেরেছিল। এই অবস্থার জন্য ভারত বিশেষকরে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে তারা সফলভাবে দায়ী করতে পেরেছিল। দ্বিতীয়ত, প্রতিষ্ঠানবিরোধী কিছু রাজনীতি ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মনের গভীরে চাপা পড়া পাকিস্তানি আবেগ উসকে দিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে শুধু জাসদ নয়, কিছু সময়ের জন্য ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টির পতাকা তলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের সক্রিয় অস্তিত্ব চোখে পড়েছে। ক্ষমতার বাইরে ভেতরে যেখানেই থাক, পরাজিত শক্তি গোপনে সংগঠিত হয়েছে। আর বিজয়ী শক্তির ফাঁটল ক্রমেই চওড়া হয়েছে। প্রগতিশীল শিবিরের এই বিভক্তি প্রতিক্রিয়ার শক্তিকে মজবুত করে ফেলে; যা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কমিটেড বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে পেছনের সারিতে ঠেলে দেয়াটা সঠিক ছিল কি না, তাও হয়তো দীর্ঘদিন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে থাকবে।

সভ্যতার নিকৃষ্টতম ঘটনা ঘটে যায় ’৭৫-র ১৫ আগস্ট। কার্যত ৭১-এ পরাজিত শক্তিই রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। রাষ্ট্রের ধারণাটাকেই বদলে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়। কোন রকম রাখঢাক না করেই একদিকে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার জিগির তুলে সাধারণ মানুষের মনজয়ের চেষ্টা, অন্যদিকে লুটপাটের সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পাকিস্তানি মডেলে ভোগসর্বস্ব নব্য ধনিক শ্রেণীর বিকাশ নিশ্চিত করা হয়। বৈষম্যক্লিষ্ট সমাজে শাসকের লক্ষ্যই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তাকে ধ্বংস করা। বিভাজনের চক্রান্ত নতুন মাত্রা পায়। অর্পিত সম্পত্তির অজুহাতে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে দেশান্তর করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি বিতাড়ন এবং বৃহত্তর বাঙালি মননকে বিভক্ত শিক্ষায় পৃথক সত্তায় বদলে ফেলা। এর সঙ্গে চলতে থাকে পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস বিকৃতি। এরপর আসে রাষ্ট্রধর্ম। মূলত স্বস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের দৃষ্টিকটু প্রতিযোগিতা। সরল প্রাণ মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা। একদিকে ভোগবাদী অর্থনীতির অপ্রতিরোধ্য দাপট, দুর্নীতি-লুটপাট-অধর্ম, অন্যদিকে ধর্মীয় প্রতীক, রেটরিকের চটকদারি ব্যবহার। সমাজ ও দৈনন্দিন জীবনে এর প্রদর্শন সর্বস্ব উপস্থিতি চিরায়ত বাঙালি আচরনকে বদলে দিতে শুরু করে। আফগান বিরোধে অনেক জিহাদির জড়িয়ে পড়া, একপর্যায়ে তাদের দেশে ফেরত আসা কিংবা মধ্যপ্রাচ্য থেকে উগ্র মতবাদ আমদানি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিকে অনেকখানি প্রভাবিত করে থাকবে। আবহমান বাঙালি সমাজে যে সমন্বয়বাদী ধর্মীয় চর্চা জারি ছিল, তাকে সরিয়ে জায়গা দখল করেছিল বৈশ্বিক মতবাদ। কেউ কেউ মনে করেন- ভারতে হিন্দুত্বের জাগরণও এ দেশে মৌলবাদী শক্তির বিস্তারকে মদত করে থাকতে পারে।
 
তবে দুদেশে সাম্প্রদায়িকতা চরিত্রগতভাবে এক নয়। অব্যাহত গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস, পরিণত বিচার ব্যবস্থা কিংবা শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি ভারতে ওয়াচডগের কাজ করেছে। ৪৭-এ দেশভাগের পর সেদেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমেনি, বরং বেড়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়েছে। তাতে সেদেশের লাভ হয়নি। জাতিগত দাঙ্গা তো কমেইনি, বরং বেড়েছে। ৭১ পরবর্তী বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে আত্মপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু ৭৫-র পর থেকেই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে সাম্প্রদায়িকতার পথে হাঁটা শুরু করে। হিন্দু জনসংখ্যা কমতে শুরু করে পাকিস্তানি ধারায়। অদ্ভূত এক প্রতিক্রিয়ার স্র্রোতে ভেসে এদেশে চলেছে ঘৃণার চাষ। বঙ্গবন্ধুর পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে প্রায় সবারই রাজনৈতিক পুঁজি ছিল পাকিস্তান প্রীতি ও ধর্মীয় বিভাজন। এই নীতির আড়ালে তারা ভারত বিদ্বেষকে জাগিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছে। আমলা, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী-সবার নীরব সমর্থন ভোগ করেছিল তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী। গণতন্ত্র, সুশাসন বা সাম্য-ইত্যাদির পক্ষে আওয়াজ ছিল ক্ষীণ। মনে হয়েছে-তাহলে কেন মুক্তিযুদ্ধ? কেন এত রক্তক্ষয়? একটা পরাক্রমশালী শাসককে অপসারণ করে শুধু ব্যবসা-ক্ষমতা দখল করাই কি ছিল লক্ষ্য? মাত্র কয়েক বছর আগে নৃশংস হত্যালুটের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা তখন ক্ষমতার আশেপাশে, বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র ইনডেমনিটির মদতে রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে লালিত-কোথায় ছিল তখন সুশাসনের দাবি? গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষা? ন্যায় ও সমতার দাবি? সুশীল সমাজকে তো তখন উচ্চকণ্ঠ দেখিনি।

বিজ্ঞাপণ

এমন বাস্তবতায় সব দল রাজনীতি করেছে। একদিকে বন্দুক, মাস্তানি, অর্থ; অন্যদিকে ধর্ম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দূরে থাক, ন্যায়-অন্যায়ের বোধটাই যেন লোপ পেয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলেও ভেবে নিয়েছে প্রতিযোগিতা করে জমি দখল করতে হবে। আদর্শ নয়, ক্ষমতা দখলের পথ। ফলে সুবিধাবাদের উপকারভোগী হয়েছে তারা। নেতাকর্মীর প্রশিক্ষণ নেই, কনভিকশনের অভাব তীব্র। ফলে বৈরী অবস্থা মোকাবিলার সাংগঠনিক দক্ষতা বা বৌদ্ধিক সামর্থ্য-কোনোটাই তাদের নেই। হয়তো মনোজগতটাও আদর্শিক প্রতিপক্ষের দখলে। দল কি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী রাজনীতি নির্মাণ করতে পেরেছে? নাকি ধর্ম ও রাজনীতি জায়গা বদল করে সমঝোতা গড়ে তুলেছে? আর অলক্ষ্যে বেড়ে উঠেছে এক দানবীয় শক্তি; যা দেশকে পাকিস্তান যুগে ফেরত নিতে চায়। রাজনীতিতে আদর্শ, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধকে সঠিক জায়গায় আনতে দল কী ভূমিকা নেবে-তা পরিষ্কার হওয়া উচিত। যারা ক্ষমতার সুবিধা ভোগ করছে, দলেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে-তাদের মতাদর্শগত অবস্থান কোথায়? পোলারাইজড সমাজে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি ভোটের অঙ্কে আদৌ ডিভিডেন্ট পাবে কি না, তাও সতর্কভাবে পর্যালোচনা করা উচিত।

রাষ্ট্রগঠন নিঃসন্দেহে একটি অবিরত প্রক্রিয়া। তবে এ দেশের পটভূমি বেশ কৌতূহলপ্রদ। রাষ্ট্রের সক্ষমতার যে রূপান্তর ঘটেছে তা বৈপ্লবিক। তলাবিহীন ঝুড়ি এখন অপার সম্ভাবনার দেশ। মহামারি বা বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায়ও দেশের অন্তর্নিহিত শক্তির প্রমাণ মিলেছে। ধারণা ছিল-আধুনিকতা, অর্থনীতির উন্নয়ন ধর্মের প্রভাবকে খাটো করবে। কিন্তু আসলে তা ঘটেনি। অর্থনীতির মজবুত ভিতের জন্য যেমন স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন, তেমনি দরকার বহুত্ব, সমতা ও সব মতপথের অন্তর্ভুক্তি। মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ধর্মকে ব্যক্তি পর্যায়ে ঠেলে দিতে। অথচ এখন ফল হয়েছে উল্টো। আধুনিকতা ও অসাম্প্রদায়িকতার আরেকটা ভরসা ছিল বিকাশমান মধ্যবিত্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিল এই শ্রেণীই। কিন্তু নতুন মধ্যবিত্তের চরিত্রেও বদলের সুর। তাদের নির্লিপ্ততা বাড়ছে। মধ্যবিত্ত জীবনের অবক্ষয়, দ্বন্দ্ব-সংঘাত স্বার্থ ভাবনায় প্রতিফলিত। তবু ভরসা রাখি বাঙালির আবহমান সংস্কৃতিতে; যার প্রসন্ন জ্যোতিকতা ঘুঁচিয়ে দেবে সব অন্ধকার। ভোরের আশ্বাসে আবার জেগে উঠবে সম্ভাবনার আলোকমালা।

[লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ]

সৌজন্য- সংবাদ অনলাইন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত