সত্যিকার মুসলমান অন্যের ক্ষতি করে না: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৪:২৪ | আপডেট : ৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১৬
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একজন সত্যিকার মুসলমান কখনো অন্যের ক্ষতি করতে ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে জড়াতে পারে না। আউলিয়া সাধক ও দরবেশদের এই দেশে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না। সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক ও উদার। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের রুখে দিতে হবে।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের আয়োজনে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবীর আলোচনাসভায় প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। সকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
আলোচনাসভায় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার ১২ রবিউল আওয়ালকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইসলামের মূল মর্মবাণী হলো—মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা। যারা এই মূল মর্মবাণী ধারণ করে, তারা কখনো ইসলামের নামে অন্য কারও ওপর আক্রমণ করে না। আজ ইসলামের মূল থেকে সরে গিয়ে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, তরুণদের বিপথে নিয়ে যাওয়া হয়। অলি আউলিয়াদের মাধ্যমে ভালোবাসায় এই জনপদে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলে, সহিংসতা সৃষ্টি করে, অন্য ধর্মের প্রতি হামলা করে; তারা ফেৎনা সৃষ্টিকারী। আমাদের এই দেশের স্বাধীনতার জন্য মুসলমান-হিন্দু একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এই দেশ সবার। আজ যারা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে, পবিত্র ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে ফেৎনা ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ না রেখে, নিজেদের মধ্যে ফেৎনা না রটিয়ে আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এক শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের নবী এত উদার, এত সহনশীল, যদি তার জীবন বিশ্লেষণ করি, তবে এমন আর কাউকে পাওয়া যাবে না। আর সেই ধর্মের মানুষকে মিথ্যাচার করে, এভাবে হেয় করা কেউ মেনে নেবে না। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যেন কেউ আমাদের মাঝে সহিংসতা সৃষ্টি করে বিদ্বেষ বাড়াতে না পারে।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে জঙ্গিবাদের জায়গা নেই। সব ধর্ম তাদের নিজ নিজ উৎসব-আয়োজন সুষ্ঠুভাবে পালন করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং ইসলাম আমাদের তাই শিখিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, মন্দিরে পবিত্র আল কোরআনের অবমাননা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় কাজ। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ইসলামের আদর্শ হতে পারে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনো অন্য ধর্মের ওপর আঘাত সমর্থন করে না। আমাদের মনে রাখতে হবে অমুসলিমরা মুসলমানদের কাছে আমানতস্বরূপ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত