শ্রীলঙ্কার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হলেন অনূঢ়া

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:২৬ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২৩

অনুরা কুমার দিসানায়েকে (ফাইল ছবি)

শপথ গ্রহণ করেছেন শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিসানায়েকে।

এসময় দেওয়া এক বক্তব্যে ভয়াবহতম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা দেশের জন্য ‘ইতিহাস পুনর্লিখন’-এর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

শপথ গ্রহণের আগে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘এই বিজয় আমাদের সকলের। দেশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।’

শ্রীলঙ্কার প্রচলিত রাজনৈতিক ধারার লঙ্ঘনকারী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করে থাকেন বামপন্থী দিসানায়েকে। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতি ও কুসংস্কারে জর্জরিত দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রতীক হিসেবে তাকে মনোনীত করেছেন জনগণ।

তিনি আরও বলেছেন, ‘লাখো কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা আমাদের সামনে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস পুনর্লিখনে আমরা প্রস্তুত।’

নির্বাচনী প্রচারণাকালে, দেশবাসীকে সুশাসন ও কঠোর দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেছিলেন দিসানায়েকে।

এছাড়া শ্রীলঙ্কার উৎপাদন, কৃষি ও আইটি খাতের প্রভূত উন্নতির বিষয়েও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল মনাটারি ফান্ড (আইএমএফ) এর কবজা থেকে দেশকে বের করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও চুক্তির বিষয়েও বদ্ধপরিকর দিসানায়েকে।

এই নির্বাচনকে ঘিরে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কায় । নির্বাচনে প্রার্থীদের কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। ফলে ১৯৮১ সালের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফা ভোট গণনা করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনের প্রথম গণনায় দেখা গেছে বামপন্থি রাজনীতিবিদ অনুরা কুমার দিসানায়কে পেয়েছেন ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট। বিরোধী দলীয় সাজিথ প্রেমাদাসা পেয়েছেন ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট। এ দুজন বাদে বাকি সব প্রার্থীকে ‘বাতিল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর চূড়ান্ত ফলাফলে অনুরা কুমার দিসানায়েকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধসহ নিত্যপণ্যের তীব্র সংকটের প্রতিবাদে ২০২২ সালে সড়কে নামেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। প্রবল অসন্তোষের মুখে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ হাজারো মানুষ ঢুকে পড়েন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনে। গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালান।

রনিলকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে দেশটির পার্লামেন্ট। এখন নির্বাচনে জয়ী হয়ে শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে অনূঢ়া দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রনিলের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে উত্তরণের আশায় অনূঢ়াকে ভোট দিয়েছেন মানুষ। এখন তাঁর বড় কাজ হবে অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে টেনে তোলা।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত