শ্রীনগরে নতুন বাজারে সরকারি জমি দখল
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ০৭:৫৫ | আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭
শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের নতুন বাজার সংলগ্ন সরকারি “ক” তফসিলের প্রায় দেড় এককর জমি দখল করে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। এসব সরকারি জমি ভরাট করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ বেপারী, আবুল কালাম মাস্টার, আনছার বেপারী, আব্দুল মান্নান, হাসেম গংরা। রাঢ়িখাল মৌজার ১৭১নং খতিয়ানের আরএস ৬১নং দাগের সরকারি সম্পত্তি ভরাট করে রকম পরিবর্তন করা হয়েছে। অথচ স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উত্তম কুমার এই বিষয়ে কিছুই জানেন না!
সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন বাজার সংলগ্ন দক্ষিন দিকে সরকারি নাল সম্পত্তি মাটি ভরাট করা হয়েছে। এসময় স্থানীয়দেও সাথে কথা বলে জানা যায়, হানিফ বেপারী আবু কালাম মাস্টার, আনছার বেপারী গং কয়েক মাস আগে এখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে।
এলাকাকাসী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তার উদাসীনতা ও যোগসাজসে সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে রকম পরিবর্তন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সিন্ডিকেটটি ভরাটকৃত সরকারি জমি চড়া মূল্যে বিক্রি করছে।
নতুন বাজারের দোকানীরা জানায়, সরকারি এসব নাল জমি ভরাটের কারণে এখানকার পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে বৃষ্টির পানির কারণে নতুন বাজার ও আশপাশের রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় বাজারে হাঁটু পানি জমে থাকছে। জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রয়দাতার কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, স্ট্যাম্পের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বেপারী বালাশুরে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের (সাবেক জমিদার যদু নাথের বাড়ি) লীজকৃত পুকুরের রকম পরিবর্তন করে। প্রভাবশালী হানিফ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।
রাঢ়িখাল ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উত্তম কুমারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে “ক” তফসিলের জমি। কোনও সরকারি খাস জমি নাই এখানে। জমির রকম পরিবর্তণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
আবুল কালাম মাস্টারের কাছে জায়গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবী করে বলেন, খরিদ সূত্রে ওখানে তাদের মালিকানা সম্পত্তি রয়েছে। তাই মাটি ভরাট করা হয়েছে। তবে তিনি কাগজপত্র দেখানোর কথা বলেও কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
হানিফ বেপারীর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে মাটি ভরাট কাজের সাথে তার কোন সম্পৃক্তা নেই। তবে ওই জায়গার কাগজপত্র থাকার কথা বলেন তিনি। সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেয়া দেবনাথ জানান, “ক” তালিকার জমির রকম পরিবর্তন কোনও ভাবেই করা যাবেনা। আমি এখনই স্থানীয় ভূমিকে বলছি ব্যবস্থা নিতে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত