শ্রাবণেও বৃষ্টি নেই বগুড়ায় শ্যালোমেশিন লাগিয়ে জমিতে আমন চাষ

  মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম (উজ্জল)

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫৩ |  আপডেট  : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:১৭

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকেরা আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় জমি তৈরি ও চারা লাগাতে পারছেন না তারা।মাঠের জমিতে পর্যপ্ত পানি না থাকায় লাঙ্গল হাল চাষ দিতে পারছেন না কুষকেরা। বাধ্য হয়ে উপজেলার কোন কোন অঞ্চলে গভীর নলকুপ চালু করে পানি সেচ দিয়ে হালচাষ করা হচ্ছে।
বাংলা দিনপঞ্জির হিসাবে শ্রাবণ মাসের এক সপ্তাহ চলে যাচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। কিন্তু এই ভরা বর্ষাতেও স্বাভাবিক বৃষ্টির দেখা নেই আদমদীঘি উপজেলায়। এতে উপজেলার কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন আমন আবাদ নিয়ে। এ অবস্থায় উপজেলার কোন কোন স্থানের কৃষকেরা শ্যালোমেশিন লাগিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন।

সরজমিনে উপজেলার কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির অভাবে অনেক জমি শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। যেসব জমিতে চারা রোপণ করেছেন,সেগুলির পানি শুকিয়ে মাটি ফেটে কাঠ হয়ে গেছে। কোন কোন এলাকায় নিচু অঞ্চলে কুষকেরা ধান রোপণ করছেন। উচু অঞ্চলের প্রায় জমি বৃষ্টি না হওয়ায় জমি ফেটে গেছে। বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন শ্যালোমেশিন বা বৈদুতিক মোটর দিয়ে। উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম রব্বানী জানান,সে ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছে। কিন্তু একটানা খরার কারণে বড় বিপাকে পড়েছে। সেচযন্ত্র দিয়ে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বেশি পড়ে যাবে। বর্ষা মৌসুসেও বৃষ্টির দেখা নেই জন্য প্রচন্ড রোদে চারা লালচে হয়ে যাচ্ছে । 

আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ অবস্থায় কৃষকদের সম্পূরক সেচ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে বাড়তি খরচ হলেও উৎপাদনের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। আদমদীঘি উপজেলায় এবার ১২ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত