শ্রমবাজার নিয়ে কাতারের কর্মকর্তার সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের বৈঠক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৩ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭
শ্রম বাজার ও বাংলাদেশি শ্রমিকদের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি শেখা নাজওয়া বিনতে আব্দুর রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম।
স্থানীয় সময় ১৬ জানুয়ারি কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ে হওয়া বৈঠকের তথ্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দোহার বাংলাদেশ দূতাবাস। বৈঠকে কাতারের শ্রমবাজার ও বাংলাদেশি কর্মী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু, আসন্ন ৭ম জয়েন্ট কমিটি মিটিং ও দ্বি-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নিয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত কাতারের আমিরের সম্ভাব্য পরবর্তী বাংলাদেশ সফরে একটি শ্রম সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের প্রস্তাব দিলে অ্যাসিস্টেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। রাষ্ট্রদূত কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বেতন ভাতা ও সার্ভিস বেনিফিট সংশ্লিষ্ট সমস্যার বিষয় তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া আল থানি এ বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ তাৎক্ষণিক লেবার মিনিস্ট্রিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। কোনো শ্রমিক তার বেতন না পেলে দেরি না করে এক মাসের ভেতরেই অভিযোগ দায়ের/দূতাবাসকে অবগত করার করার পরামর্শ দেন। কারণ ৩/৪ মাস কোনো কোম্পানি বেতন না দিলে পরবর্তী সময়ে তা আদায় করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া ২/৩ মাসের বেশি বেতন না পেলে অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করার পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত কাতারের বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি নিয়োগ করার বিষয় তুলে ধরলে শেখা আল থানি বলেন, কাতার শ্রম বাজার ডিজিটাইজেশনের দিকে এগোচ্ছে। তাই দক্ষ ও প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন শ্রমিক আনার বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে কাতার আর অদক্ষ শ্রমিক আনবে না।
শ্রম মন্ত্রণালয়ে কেস চলাকালীন থাকা সত্ত্বেও অনেক বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি রাষ্ট্রদূত তুলে ধরলে শেখা নাজওয়া বলেন, এরইমধ্যে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনলাইন লিংক করা হয়েছে, যাতে কোন শ্রম অভিযোগের নিষ্পত্তি ছাড়া কাউকে ডিপোর্ট করা না হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর ও তনময় ইসলাম এবং কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত