শুরু হয়ে গেল এগারোদিন ব্যাপী গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৪ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০৭
দুই বাংলার অন্যতম সাংস্কৃতিক উৎসব গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে ২১ অক্টোবর [শুক্রবার] থেকে। এগারোদিন ব্যাপী চলবে এই উৎসবটি দুই বাংলার প্রায় ৩৫০০জন শিল্পী এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। ২০১০ সাল থেকে সফলতার সাথে এই উৎসব হয়ে আসছে। এই উৎসবের আহবায়ক জনাব গোলাম কুদ্দুস। আর্থিক সহায়তায় আছে বাংলাদেশ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আই আফ আই সি ব্যাংক। গত ১৬ অক্টোবর জনাব গোলাম কুদ্দুস সকল স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কর্মীসভার আয়োজন করেন এবং পরিকল্পনা করেন। ১৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উৎসবের ঘোষণা দেন আহবায়ক।
২১ অক্টোবর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন মঞ্চসারথী আতাউর রহমান, প্রধান অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, সম্মানীত অতিথি নাট্যজন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, নাট্যজন মামুনুর রশিদ, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকি, আই এফ আই সি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার এবং আহকাম উল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে হারিয়ে যাওয়া আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ , ফকির আলমগীর, মাসুম আজিজ সহ বিশিষ্ট সংস্কৃতি কর্মীদের স্মরণে নিরিবতা পালন করা হয়। এরপর অতিথিগণ একে অপরকে স্বারক প্রদান করেন।
মঞ্চে একটি ভিন্নধর্মী পরিবেশনা ছিল যেখানে মঞ্চের দুই পাশে অনুষ্ঠান চলাকালীন দুইজন বরেণ্য চিত্রশিল্পী রাগিব রহমান এবং কিরিটি রঞ্জন বিশ্বাস ছবি আকেন।
এই উৎসবটি একাধারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তাদের মিলনায়তন, মহড়া কক্ষ সহ থাকার স্থান গুলো বিনা ভাড়ায় শিল্পীদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে উন্মুক্ত মঞ্চ, মূল নাট্যশালা এবং পরীক্ষণ হলে কার্যক্রম চলবে। মূল নাট্যশালা এবং পরীক্ষণ হলে প্রদর্শনী দেখার জন্য স্বল্পমুল্যে টিকিট কিনতে হবে। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিশেষ স্থান বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রায় দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক দল দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাপক উপস্থিতি দেখা দেয়, এই প্রসঙ্গে উৎসবের আহবায়ক জনাব গোলাম কুদ্দুস গ্রামনগর বার্তাকে বলেন, "এই ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, উৎসব গঙ্গা-যমুনা উৎসব আর পাঁচ দশ সংগঠনের উৎসব না এটি হল বাংলাদেশের সকল ধারার সকল সংস্কৃতি কর্মীদের নিজের উৎসব এবং সর্বস্তরের মানুষ গণমাধ্যম অপেক্ষা করতে থাকে গঙ্গা-যমুনা উৎসবের জন্য, যা আমাদের আয়োজনকে সার্থক ও অনুপ্রাণিত করে।"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রামেন্দু মজুমদারের প্রযোজিত নাটক প্রদর্শিত হয়।
জণসাধারণের কাছে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকদেরও বেশ আগ্রহ আছে এই উতসবের প্রতি। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন এই উৎসব বাঙালীর সংস্কৃতির ধারক বাহক ও ইতিহাস হয়ে থাকবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত