শুরুর দিকে মাইকিং করেও টিকা দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না: অর্থমন্ত্রী  

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৪ জুন ২০২১, ২০:৩২ |  আপডেট  : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭

করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বললেন, ‘সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য অর্থেরও ব্যবস্থা করেছি।’ ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট–উত্তর ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে প্রশ্ন ছিল, বাজেট বক্তব্যে তিনি যে বললেন প্রতি মাসে ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এভাবে দিতে গেলে তো চার বছর লেগে যাবে। প্রশ্ন শুনে অর্থমন্ত্রী প্রথমেই বলেন, ‘কোথায় পেলেন এ তথ্য?’ জবাবে সাংবাদিক জানান, ‘আপনার বাজেট বক্তব্যেই তা বলা আছে।’

তখন অর্থমন্ত্রী আবার বলেন, ‘শুরুর দিকে মাইকিং করেও টিকা দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে পর্যায়ক্রমে সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামকে নিয়ে প্রশ্নোত্তর-নির্ভর সংবাদ সম্মেলনটি করেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেট বক্তব্যের ৪৫ পৃষ্ঠায় গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘মোট ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার আওতায় আনার জন্য ভাগ ভাগ করে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে টিকা দেওয়া হবে এবং প্রতি মাসে ২৫ লাখ করে টিকা দেওয়া হবে।’

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা কালোটাকা নয়। অপ্রদর্শিত আয়। এটা নিয়ে মিশ্র অভিমত আছে। কেউ বলেন “ভালো,’ কেউ বলেন ‘না’। কয়েক দিন আগেই অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যত দিন অপ্রদর্শিত আয় থাকবে, তত দিন তা সাদা করার সুযোগ থাকবে।

প্রশ্নটি ছিল, সিদ্ধান্তটি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কী যুক্তি কাজ করেছে। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তখন তাঁর কাছে যথেষ্ট তথ্য ছিল না। তবে এই সুযোগের ভালো দিক যেমন আছে, খারাপ দিকও আছে। ভালো দিক হচ্ছে অর্থনীতির মূল ধারায় আসে। আর খারাপ দিকটি হচ্ছে, ন্যায্যতা থাকে না।

বাজেটে কর ছাড়ের পক্ষে নিজের যুক্তি দেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘করহার আস্তে আস্তে কমালেই সংগ্রহ বাড়বে। আর বাজেট ব্যবসাবান্ধবই। প্রতি সময় মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়। চাহিদা পূরণে ব্যবসায়ীদেরও পরিবর্তন আসে। সারা বিশ্ব কী করছে, সেটিও দেখতে হবে। উন্নত বিশ্ব যদি পিছিয়ে পড়ে, তাহলে আমরা কিন্তু এগোতে পারব না। কারণ, উন্নত বিশ্বের মাধ্যমেও আমরা সমৃদ্ধ। আজ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিই আমাদের শেখায় যে আমরা একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত