শীতেও খুশকির সমস্যায় নাজেহাল, কী, কীভাবে, সমাধানের উপায় কী?
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৪ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২২
শীতে এমনিতেই ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য কষ্ট বেশি হয়। এ সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে পা ফাটাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। স্বাভাবিক কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও আরও একটি সমস্যা হয়, সেটি হচ্ছে খুশকি হওয়া। শীতে খুশকি হওয়া মানে যেন একটু বেশিই বিড়ম্বনায় পড়া। মাথা আঁচড়ানোর সময় চিরুনিতে, পরনের জামা-কাপড়ে, বিছানা কিংবা অফিসের ডেস্কে খুশকি পড়ে। দেখতে যেমন খারাপ দেখায়, একই সঙ্গে নিজের কাছেও অস্বস্তি লাগে। আর চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়া তো রয়েছেই।
শীতে চুলে খুশকি কেন হয়, কী ক্ষতি করে এবং খুশকি রোধে করণীয় সম্পর্কে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহেদ পারভেজ। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
খুশকি হওয়ার কারণ কী: খুশকি খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মাথার ত্বকের মৃত কোষগুলো ঝরে যাওয়া হচ্ছে খুশকি। সাধারণত শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারণে অনেকেরই খুশকি হয়। কেননা, শীতে ত্বক একটু বেশিই শুষ্ক হয়, মাথার পুরনো ত্বক ঝরে পড়ে নতুন ত্বক তৈরি হতে থাকে। এ সময় পানি পানের প্রবণতাও অনেকটা কমে যায়।
এছাড়াও খুশকি হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন, শীতের জন্য কয়েকদিন চুল ধোয়া না হলে ফাঙ্গাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যা থেকে খুশকি হয়। আবার কখনো কখনও সেবোরিক ডার্মাটাইটিস নামক রোগ থেকেও খুশকি হয়ে থাকে।
খুশকি হলে যেসব সমস্যা হয়: খুশকি হলে বিভিন্ন প্রভাব পড়ে। চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়ে থাকে, চুল পড়া শুরু হয়, মাথার ত্বকে চুলকানি হয়। অতিরিক্ত চুলকানি থেকে নখের বা অন্য কোনো কিছুর আঁচড়ে মাথার ত্বকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খুশকি হওয়ার পর মাথার ত্বকে কারও কারও ছোট ছোট দানার মতো গোটাও হয়ে থাকে।
খুশকি হলে করণীয়: খুশকি দূর করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এরমধ্যে অনেকেই ঘরোয়া উপায় বা চিকিৎসা অবলম্বন করে থাকেন। বাজারের অনেক রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করে খুশকি দূর করা যায়। কিন্তু পণ্যগুলো কতটা কার্যকর এবং কোনো ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে কিনা, সেটি জেনে নিতে হবে। তবে ভালো উপায় হচ্ছে খুশকি নিয়ন্ত্রণে ভালো মানের অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা।
এছাড়া খুশকি হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা চাই। শীতকালীন ফলমূল খাওয়া চাই। মাথার ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি। প্রতিদিন যদি শ্যাম্পুর প্রয়োজন হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সেটি করতে হবে। শ্যাম্পু শেষে চুল শুষ্ক হতে পারে। এজন্য কন্ডিশনার বা সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। তবে খুশকি দূর করতে প্রসাধনীর থেকে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক সমাধান বেশি কার্যকর।
ঘরোয়া উপায়: খুশকি দূর করতে প্রথমেই কয়েকটা নিমপাতা গুঁড়া করে নিন। এরপর অলিভ অয়েলের সঙ্গে নিমপাতা গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন।
আবার পেঁয়াজের রসও ভালো উপকারে আসে খুশকি দূর করতে। পেঁয়াজের রস মাথায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও পাঁচ চামচ পাতি লেবুর রস, একটু অরেঞ্জ পিল পাউডার নিয়ে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। মাথায় বিশ থেকে ত্রিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত