শিক্ষার্থীদের আইসিটি মেধা বিকাশে হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ’ শুরু
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:২০ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২৩
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) দক্ষ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্যে গত সাত বছরের মতো এ বছরও শুরু হলো হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ।’ আজ অনলাইন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সাথে ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র উপাচার্য ড. মো. ফজলে ইলাহী এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন। বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মো. রুবাইয়াত তানভীর হোসেন।
বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশলবিদ্যা ও গণিত) এবং নন-এসটিইএম বিষয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, জ্ঞান প্রদান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত সম্পর্কে আরও জানাশোনা ও আগ্রহ তৈরিতে কাজ করে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চালু হওয়া এই প্রোগ্রামটি সারাবিশ্বে প্রায় দশ বছর ধরে মেধা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। এর পরিসর, লক্ষ্য ও সফলতার জন্য হুয়াওয়ের এ কর্মসূচিটি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও খাতসংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আমি বেশ কিছু দিন ধরে হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামটির কার্যক্রম লক্ষ্য করেছি। আমি বলবো যে, এই ধরনের উদ্যোগ কেবল আমাদের যুব সমাজের ভবিষ্যৎ উপযোগী তথ্য ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিকাশেই নয়, পাশাপাশি এটি এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে যা ইন্ডাস্ট্রিতে এই খাতে দক্ষ ব্যক্তিদের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং আইসিটি বিষয়ে মেধাবীদের গড়ে তুলতে ক্রমাগত সাহায্য করছে।”
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জর্জ লিন বলেন, “তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। সামনের বছরগুলোতে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত দক্ষতার ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে, হুয়াওয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে এর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তরুণদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে এই প্রোগ্রামটি তৈরি করেছে।”
ড. মো. রুবাইয়াত তানভীর হোসেন বলেন, “এই প্রোগ্রামটি সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে, কারণ ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ কেবল এসটিইএম ও নন-এসটিইএম শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত জ্ঞানের বিকাশেই নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। বরাবরের মতো এই বছরের প্রোগ্রামও সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা হবে বলে আমার প্রত্যাশা।”
এই বছরের প্রোগ্রামে দেশের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট, জ্ঞান, উদ্ভাবনী চিন্তার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ থেকে ১৮ জন বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে যারা সারা বিশ্বের অন্যান্য বিজয়ীদের সাথে পরবর্তী পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে।
২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে বৈশ্বিকভাবে চালু হওয়ার পর ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা বিশ্বের প্রায় নয় হাজার শিক্ষার্থী এবং পাঁচশো’র অধিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত এই প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত