শাল্লায় হামলার ঘটনায় মামলা
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২১, ২১:০৬ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:২৫
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গ্রাম নোয়াগাওয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক সমর্থকদের হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় শাল্লা থানায় এই মামলা দায়ের হয়। মামলায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ এবং ৬০-৭০ অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। মামলা নম্বর ০৬। সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্রামবাসীর পক্ষে শাল্লা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তবে আসামি ও বাদীর নাম প্রকাশ করতে অপরাগতা জানিয়েছে পুলিশ।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘সন্ধ্যায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের ধরতে অভিযানে আছি। তবে মামলার স্বার্থে বাদী ও আসামির নাম বলা যাবে না।’
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মন্দিরসহ শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৭ মার্চ) উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সোমবার (১৫ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝুমন দাস আপন (২৩) নামের এক যুবক আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে কটাক্ষ করেন। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতে স্থানীয়রা ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার লোক রামদা, লাঠি-সোটা নিয়ে ওই গ্রাম ঘিরে ফেলে।
নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাজার হাজার মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে থাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ছাড়াও গ্রামের চন্ডিপুর মন্দির, দূর্গামন্দির, কালী মন্দির, শিব মন্দির, বিষ্ণু মন্দিরের পুরোহিতরাও গ্রাম ছেড়ে হাওরের দিকে চলে যান। এসময় হামলাকারীরা বাড়িঘরে লুট করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত