শাজাহান খানের ১৫ বছরে আয় বেড়েছে ৩২ গুন
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৭ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪
শাজাহান খানের ১৫ বছরে আয় বেড়েছে ৩২ গুন।নির্বাচনে হলফ নামায় বিশ্লেষণে দেখা গেছে। মাদারীপুর-২ আসন থেকে শাজাহান খান ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। হয়েছেন মন্ত্রীও। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। হলফনামা মোতাবেক মন্ত্রীত্ব হারানোর পরে ব্যবসা থেকে তার আয় কমেছে।
সংসদ সদস্য শাজাহান খান ২০১৮ সালে মন্ত্রী থাকাকালে তার ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ছিলো ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২৫০ টাকা। মন্ত্রীত্ব হারানোর পর ২০২৩ সালের হলফনামা মোতাবেক তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। ২০০৮, ২০১৮ ও ২০২৩ সালে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শাজাহান খানের দাখিল করা হলফনামার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এবার তিনি আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ২০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬২৪ টাকা। অর্থাৎ, ১৫ বছরে তার আয় বেড়ে প্রায় সোয়া ৩২ গুণ হয়েছে। শাজাহান খান সংসদ সদস্য হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন ২৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৮৪ টাকা তবে ২০১৮ সালে এই ভাতার পরিমান ছিলো ২৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৮০ টাকা। তার স্ত্রীর নামে অবিশ্বাস্য কমমূল্যে রাজউক পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। যার মূল্য তিনি দেখিয়েছেন মাত্র ২৩ লক্ষ ৫ হাজার ৬০০ টাকা।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ছিলেন দেনাদার। ১৫ বছর আগে যখন শাজাহান খান মনোনয়নপত্র জমা দেন তখন তার মাসিক আয় ছিল ৫৭ হাজার ৮৬ টাকা। তার স্ত্রীর শিক্ষকতা থেকে মাসে আসত ৫ হাজার ২০০ টাকা। তখন তাদের স্বামী-স্ত্রীর হাতে নগদ কোনো টাকা ছিল না। বরং ঋণ ছিল ৪২ লাখ টাকার উপরে। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬ টাকা। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫৭ লাখ টাকার। এখন তা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকায়।
তিনি পেশা হিসেবে রাজনীতি, সাধারণ ব্যবসা ও অন্যান্য উল্লেখ করেছেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেন স্নাতক (পাস)। তার হলফনামা মোতাবেক ১৯৭৫ সালে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও ১৯৭০ সালে একটি মামলায় তার ৬ মাসের কারাদন্ড হয়েছিল।
হলফনামা অনুযায়ী, শাজাহান খানের দুটি গাড়ি রয়েছে, যার দাম ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তাঁর একটি বন্দুক ও একটি পিস্তল রয়েছে যার মুল্য ৩ লক্ষ ২ হাজার টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে ৮০ তোলা সোনা রয়েছে। যার মুল্য ৮০ হাজার টাকা। তবে এর আগের হলফনামায় তার স্ত্রীর ১৫ তোলা সোনা ছিলো।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত