লুটেরাদের লুট বন্ধ না হলে বাজেটের ফল পাওয়া যাবে না : এনডিপি
প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৪, ১৮:০৪ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৪
সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জনদুর্ভোগ আরও প্রকট করবে ও দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করবে। এ বাজেটে গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি অবহেলিত। তারপরও বাজেট বাস্তবায়নে সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বরাদ্দকৃত অর্থ হরিলুট, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করতে না পারলে সুফল পাওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বিশাল অঙ্কের ঋণনির্ভর বাজেট। এই বাজেট সাধারণ মানুষের কল্যাণে বা মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যত্তি ও দরিদ্র জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করা হয়নি। এই বাজেটে দুই পদ্ধতিতে ভ্যাট আরোপ হতে যাচ্ছে। যা শাখের করাতের মতো অবস্থা। বরাবরের মতো নতুন অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এর মাধ্যমে আসলে লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের স্বার্থই বারবার রক্ষা করা হচ্ছে। ফলে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত হয়। সরকারের উচিত এই প্রস্তাব বাতিল করা।
নেতৃদ্বয় বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে- এই বাজেট কল্পনাবিলাসী ও লুটপাট সহায়ক বাজেট। বাজেটের টাকা কোত্থেকে আসবে। বিদেশি ব্যাংক, দাতাগোষ্ঠী নাকি দেশীয় কোনো ব্যাংক থেকে। কিন্তু এই অর্থের চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। করোনাকালে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। এই বাজেটে এর মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে। ভালো বাজেট সেটাই, যেই বাজেটে সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হয়।
তারা বলেন, দেশের সব স্তরে ধারাবাহিক দুর্নীতির খবর প্রকাশের পরও সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা জনগণের বুঝে আসে না। সরকার হয়ত মনে করে ব্যবস্থা নিতে গেলে দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। অথচ এই ব্যবস্থা না নেওয়ার মানসিকতা গোটা বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। ফলে সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরাদের কল্যাণ করলেও জনগণের কল্যাণে আসবে না।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত