লিবিয়ায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা, দেড় শতাধিক প্রাণহানি
প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০৮
লিবিয়ায় ভয়াবহ ঝড় ও বন্যায় ডারনা এলাকায় অন্তত দুই হাজার মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির স্বঘোষিত পূর্ব লিবিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বলেছেন কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ। কিন্তু এই পরিসংখ্যানের উৎস সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি। স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
রবিবার লিবিয়ায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। আঘাতের পর কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারি করে। গত সপ্তাহে এই ঝড়ের আঘাতে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বেনগাজির রেড ক্রিসেন্ট প্রধান কাইস ফাকেরি ডারনায় অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, শহরটি পানি ১০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।
ডারনা পৌরসভা জানিয়েছে, দুটি বাঁধ ভেঙে গেছে। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পুরো আবাসিক ব্লক ধ্বংস হয়ে গেছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক মালিক ত্রাইনা বলেছেন, ডারনা শহরটি পাহাড়ে ঘেরা এবং বাঁধগুলো ভেঙে গেছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, ৩ কোটি ঘন বর্গমিটার পানি বাঁধ ভেঙে শহরে প্রবেশ করেছে।
ডারনা শহরের এক বাসিন্দা আহমেদ মোহাম্মদ সোমবার বলেছেন, আমরা ঘুমে ছিলাম। যখন ঘুম ভাঙে তখন বাড়িতে পানি দেখতে পাই। আমরা ভেতরে আছি, বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছি।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বায়দাতে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র। উপকূলীয় শহর সুসাতে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শাহাত্ত ও ওমর আল-মোখতার শহরেও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজধানী ত্রিপোলিতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ দ্বেইবা রবিবার বলেছিলেন, তিনি সব রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে ক্ষয়ক্ষতি ও বন্যার মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন।
লিবিয়ার জাতিসংঘ কার্যালয় বলেছে, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের উদ্যোগের সমর্থনে জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।
২০১১ সালে দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যার পর ২০১৪ সাল থেকে লিবিয়া দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহে গ্রিস, তুরস্ক ও বুলগেরিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানে। এতে এক ডজনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সোমবার এটি পশ্চিম মিশরে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত