রেকর্ড গড়েও ইংল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ০৯:৩৪ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯

বাবর আজমের ব্যাটে ফিরলো রানের ফোয়ারা। ইংলিশ বোলারদের তুলোধুনো করে পাকিস্তান অধিনায়ক  খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রানের ইনিংস। কিন্তু বিফলে গেল সেই ইনিংস। বার্মিংহ্যামে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) তৃতীয় ওয়ানডেতেও ৩ উইকেটে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। সঙ্গে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে পেল মূল্যবান ৩০ পয়েন্ট।

এদিন, টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩১ রান করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটের জুটি গড়ে ১৭৯ রান তোলেন বাবর আজম। তাতেই পাকিস্তান গড়ে এই রানের পাহাড়। এছাড়া ইমাম উল হকের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে করেন ৯২ রান।

বাবর প্রথম রান তুলতেই খেলেন ১৫ বল। হাফসেঞ্চুরি করতে লাগে ৭২ বল। আর সেঞ্চুরির দেখা পান ১০৪ বলে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০তম ওভারে যখন আউট হন তখন তার নামের পাশে ছিল ১৫৮ রান। যা তার ক্যারিয়ার সেরা রান। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। ৮২ ওয়ানডে খেলা পাকিস্তান অধিনায়কের এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ১২৫ রান।

রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ বলে ৭৪ রান। আর ইমাম উল হক করেন ৭৩ বলে ৫৬ রান। এই তিন ছাড়া একমাত্র ফাহিম আশরাফ দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন (১০)

বাবরের সেঞ্চুরির ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে ৫ উইকেট নেন ব্রাইডন কার্স। তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা এই পেস বোলার এর আগের ২ ওয়ানডেতে পেয়েছেন মাত্র ১টি উইকেট। এবার এক ম্যাচেই ১০ ওভারে ৬১ রান দিয়ে নিলেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া সাকিব মাহামুদ ১০ ওভারে ৬০ রান ৩ উইকেট দখল করেন।

৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ডেভিদ মালানকে কট বিহাইন্ড করেন হাসান আলি। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে ফিরলেন ইংলিশ ওপেনার। অন্য প্রান্তে ফিল সল্টের ব্যাটে ছিল ঝড়। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে তাকে বিদায় করেন হারিস রউফ। ৭ চারে ২২ বলে ৩৭ রান করেন সল্ট।

রউফ পরে থামান ৭ চারে ৩৯ রান করা জ্যাক ক্রলিকেও। ৭ রানে হাসানের হাতে জীবন পাওয়া বেন স্টোকস ডানা মেলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শাদাব খানকে ছক্কায় ওড়িয়ে পরের বলে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ইংলিশ অধিনায়ক। এরপর জন সিম্পসন দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড।

পরিস্থিতি হতে পারতো আরও খারাপ। কিন্তু ১০ রানে গ্রেগরির ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি ইমাম। পাকিস্তানকে দিতে হয় এর মাশুল। ষষ্ঠ উইকেটে ভিন্সের সঙ্গে গ্রেগরির ১২৯ জুটিতে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সেঞ্চুরির পরার বেশিদূর যেতে পারেননি ভিন্স।

৯৫ বলে ১১ চারে ১০২ রান করে রউফের বলে ধরা পড়েন বাবরের হাতে। তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৭৭ রান করে রউফের পরের ওভারে বিদায় নেন গ্রেগরি। বাকিটা সহজেই সারেন ক্রেইগ ওভারটন ও কার্স। হোয়াইটওয়াশড হয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৩১/৯ (ইমাম ৫৬, ফখর ৬, বাবর ১৫৮, রিজওয়ান ৭৪, মাকসুদ ৮, হাসান ৪, ফাহিম ১০, শাদাব ০, শাকিল ৩*, আফ্রিদি ০, রউফ ০*; সাকিব ১০-২-৬০-৩, গ্রেগরি ৭-০-৪২-০, ওভারটন ১০-০-৬৪-০, কার্স ১০-০-৬১-৫, স্টোকস ৪-০-৩১-০, পারকিনসন ৯-০-৭০-১)।

ইংল্যান্ড: ৪৮ ওভারে ৩৩২/৭ (সল্ট ৩৭, মালান ০, ক্রলি ৩৯, ভিন্স ১০২, স্টোকস ৩২, সিম্পসন ৩, গ্রেগরি ৭৭, ওভারটন ১৮*, কার্স ১২*; আফ্রিদি ১০-০-৭৮-০, হাসান ৯-০-৬৯-১, রউফ ৯-০-৬৫-৪, ফাহিম ৬-০-৩৪-০, শাদাব ৯-০-৬১-২, সাকিল ৪-০-২০-০)।

ফল: ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড

ম্যান অব দা ম্যাচ: জেমস ভিন্স

ম্যান অব দ সিরিজ: সাকিব মাহমুদ

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত