রাশিয়ায় কনসার্ট হলে হামলায় নিহত বেড়ে ৬০, আইএসের দায় স্বীকার
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:২৮ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৬
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জন হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। রুশ তদন্ত কমিটির বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এদিকে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে মুখোশ পরা বন্দুকধারীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
ঘটনার পরপর নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। যদিও আইএসের ওই পোস্ট যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনাকে ‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হামলার পরপর শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, এটা রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। এ ঘটনায় পুরো বিশ্ব থেকে সাধারণ মানুষ তীব্র নিন্দা ও শোক জানাচ্ছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা গুলি করার পাশাপাশি বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ধসে পড়েছে হলের ছাদ।
এদিকে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে বলেন, মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের বা ইউক্রেনীয়দের সম্পৃক্ততার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, মস্কোয় বড় জমায়েতে উগ্রপন্থীদের হামলার পরিকল্পনার খবর জানা গেছে। এ সতর্কবার্তায় বড় জমায়েতের মধ্যে কনসার্টের কথাও বলা হয়েছিল। সতর্কবার্তায় মস্কোয় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে এ ঘটনায় নিজেদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। শুক্রবার হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সহযোগী মিখাইলো পোদোলাক এ কথা বলেন। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত