রইসির মৃত্যুতে আমরা জড়িত নই- ইসরায়েল
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ১৫:০৯ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪০
ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যুর পরেই থেকে চর্চায় উঠে আসছে ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের নাম। জল্পনা, তারাই কৌশল করে রইসিকে হত্যা করেছে। তবে সোমবার ইসরায়েল জানিয়েছে, রইসির মৃত্যুর নেপথ্যে তাদের কোনও হাত নেই। তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও ভাবেই, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের এক সরকারি কর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘রইসির মৃত্যুতে আমরা জড়িত নই।’’ রবিবার আজারবাইজান সীমান্ত লাগোয়া পার্বত্য অঞ্চলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে রইসির। মারা গিয়েছেন চপারে রইসির সহযাত্রী তথা সে দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। এ ছাড়াও চপারে থাকা আরও ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা এবং সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যে, পর্বতে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টার। সেই সময় দুর্ঘটনাস্থলে ভারী বৃষ্টি এবং ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা খুব কম ছিল বলেও জানা গিয়েছে। আপাত ভাবে আকস্মিক দুর্ঘটনার জেরেই রইসির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও অনেকে মনে করছেন, ওই ঘটনার নেপথ্যে হাত রয়েছে ‘শত্রু’ দেশ ইসরায়েলের।
ইসরায়েল গঠনের পর থেকেই শিয়া অধ্যুষিত ইরানের সঙ্গে তার ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা অজানা নয়। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকেই অশান্ত পশ্চিম এশিয়া। সেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ইরানও। সরাসরি হামাসেরই পক্ষ নেয় ইরান। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে পশ্চিম এশিয়ায় লেবানন, সিরিয়া, ইরাক কিংবা ইয়েমেনের মতো দেশকে মদত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। এর পর ইরান-ইসরায়েলের তিক্ততা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে একে অপরের দিকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলাও চালিয়েছিল সেই দুই দেশ।
এর পর রবিবার রইসির মৃত্যুর পর জল্পনা তৈরি হয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের চপার দুর্ঘটনায় হাত থাকতে পারে ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার। সোমবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করল ইসরায়েল।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত