রংপুরে অবাধে নিষিদ্ধ রিংজাল দিয়ে মৎস্য নিধন
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৩, ১২:১২ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৯
রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা, মানাস, বুড়াই নদী ও বিভিন্ন খাল বিল ও জলাশয়ে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী রিং জাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। ফলে দেশী প্রজাতির মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর উদাসিনতার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুওে দেখা গেছে এবারে কাউনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যা কম হওয়ায বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই নদী ও খাল বিলে পানি কম। এ জন্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে মাছের প্রজননও অনেক কম হয়েছে। তারপরও নিষিদ্ধ রিং জালের ব্যবহারে দেশীয় প্রজাতি মাছের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার হাজার হাজার জেলে
পরিবার অসহায় হয়ে পরছেন।
জানা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৬ ইউনিয়নে সহস্রাধিক জেলে পরিবার রয়েছে। তারা সাড়া বছর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরের অন্যান্য সময় তেমন মাছ না হলেও বর্ষা মৌসুমের মাছ বিক্রি করেই তাদের সাড়া বছরের রোজগার করে নিতে হয়। এবারে বন্যা এখনও হয়নি ফলে মৎস্যজীবীরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তারপরও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। ফলে নদীতে মাছের প্রজনন শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পেলেও অসাধু মাছ শিকারীদের রিং জালে তা চরমভাবে ব্যাহত হয়ে পড়ে।
কাউনিয়া বালাপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ভোলারাম দাস বলেন, নদী ও খাল-বিলে আশংকাজনক হারে রিং জালের ব্যবহার বেড়েছে। আর এ জালে সব ধরণের মাছ নিধন করা সম্ভব। এভাবে মাছ নিধন হতে থাকলে মৎ্যস্যজীবিরা অসহায় হয়ে পরবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, বিভিন্ন স্থানে রিংজালের ব্যবহার হচ্ছে। আমরা এগুলোর প্রতিরোধে অভিযানও পরিচালনা করছি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে জাল আটক করে ধ্বংস করা হয়েছে। নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক জানান, আমি নতুন এসেছি, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো। রিং জালের ব্যবহার প্রতিরোধ না করতে পারলে আগামীতে দেশী মাছ আর পাওয়া যাবে না বলে আশংকা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত