যুদ্ধের প্রতিবাদে সব কর্মীর পদত্যাগ, বন্ধ রাশিয়ার টিভি চ্যানেল!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২২, ১০:২১ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮

ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কভারেজের জন্য একটি টিভি চ্যানেলকে সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় রাশিয়ার সরকার। এরপরেই উদারপন্থী রাশিয়ান টিভি চ্যানেলটির সব কর্মী পদত্যাগ করেন।

একটি ভাইরাল ভিডিওতে, রাশিয়ান টিভি চ্যানেল ডজডের কর্মীদের ‘যুদ্ধ নয়’ ঘোষণা করতে শোনা যায়। এ সময়ে তারা একসঙ্গে স্টুডিও ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপরেই চ্যানেলটি ‘সোয়ান লেক’ ব্যালে ভিডিওটি চালায়। এই ভিডিওর একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় চ্যানেলগুলিতে প্রচারিত হয়েছিল এই ব্যালে।  

নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাটালিয়া সিন্দেয়েভা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘শ্বাস নিতে এবং কীভাবে আরও কাজ করতে হবে তা বোঝার জন্য আমাদের শক্তির প্রয়োজন। আমরা সত্যিই আশা করি যে, আমরা ফিরব এবং আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। ’

এই সপ্তাহের শুরুতে, রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল দেশটির মিডিয়া ওয়াচডগকে এই চ্যানেলের পাশাপাশি ল্যান্ডমার্ক রেডিও স্টেশন একো মস্কভির ‘অ্যাক্সেস সীমিত করার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন। কো মস্কভিও কাজ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে,`উগ্রবাদী এবং হিংস্র কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানানো তথ্য'-এর `উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং নিয়মিত' পোস্ট করার ফলে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তারা আরও বলেছে যে, এই মিডিয়া আউটলেটগুলি ইউক্রেনে `রাশিয়ার সামরিক কর্মীদের কাজ সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য' প্রচার করার জন্য শাস্তি পেয়েছে।

এ পদক্ষেপটিকে মনে করা হচ্ছে রাশিয়ার স্বাধীন মিডিয়ার ওপর সর্বশেষ আঘাত হিসেবে। রাশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, অনেক মিডিয়াকর্মী এবং স্বাধীন আউটলেটকে দেশের সরকার ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রুশ সেনারা। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে শনিবার (৫ মার্চ) দশম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ।  
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত