‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কবি রোজীর সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে’
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৩২ | আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৫৪
বিশিষ্ট কবি ও রাজনীতিবিদ কাজী রোজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবিতার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কাজী রোজীর সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এর আগে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত আড়াইটায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কাজী রোজী। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। মাল্টিপাল অর্গান প্রবলেমের কারণে তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না। করোনা শনাক্ত হওয়ায় আইসোলেশনেও থাকতে হয়েছিল তাকে।
কবি কাজী রোজীর জন্ম ১৯৪৯ সালের ১ জানুয়ারি, সাতক্ষীরায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ২০০৭ সালে তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন।
১৯৬০ এর দশকে কবিতা লেখা শুরু করেন কাজী রোজী। ২০১৪ সালে ১৯ মার্চ সংরক্ষিত নারী আসনে ‘সংসদ সদস্য’ নির্বাচিত হন। কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয় তাকে।
কাজী রোজীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: পথঘাট মানুষের নাম (কাব্যগ্রন্থ), নষ্ট জোয়ার (কাব্যগ্রন্থ), আমার পিরানের কোনো মাপ নেই (কাব্যগ্রন্থ), লড়াই (কাব্যগ্রন্থ), শহীদ কবি মেহেরুন নেসা (জীবনী গ্রন্থ), রবীন্দ্রনাথ: রসিকতার কবিতা (গবেষণা গ্রন্থ)।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত