যুদ্ধবিরতি চুক্তি সঠিক পথে আছে, শিগগিরই কার্যকর হবে: কিরবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ |  আপডেট  : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩৮

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়া নিয়ে আশা ছাড়ছে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে চুক্তিটি সঠিক পথে আছে এবং শিগগিরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

কিরবি বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে এটি (যুদ্ধবিরতি চুক্তি) লাইনচ্যুত হতে চলেছে, এমনটা বলার মতো আমরা এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’

গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটির কথা থাকলেও তা হয়নি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার বা আগামীকাল শনিবার ভোট হতে পারে।

তবে গাজা উপত্যকায় এখনো ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল রাতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার ঘোষণা আসার পরদিন ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিভাজন রয়েছে। চুক্তিটি ঝুলে থাকার জন্য হামাসকে দায়ী করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় গতকাল নির্ধারিত ভোটাভুটি হয়নি।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার প্রথম ছয় সপ্তাহে গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের মধ্য থেকে ৩৩ জনকে ছেড়ে দেওয়ার কথা। পরিবারের সদস্যরা জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ৯৮ জন জিম্মির জন্য প্রতিটি রাতই আরেকটি ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের রাত। তাদের ফিরিয়ে আনতে আর এক রাতের জন্যও দেরি করবেন না।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, আলোচনার ক্ষেত্রে যেসব অমীমাংসিত বিষয় আছে, সেগুলোর সমাধান করা দরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, হামাস যেসব কারাবন্দীর মুক্তি চাইছে, তাদের কারও কারও পরিচয় নিয়ে বিরোধ আছে। কর্মকর্তারা বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা দোহায় ছিলেন এবং মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা এটি সমাধানের জন্য কাজ করছেন।

হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইজ্জত আল রেশিক বলেছেন, তাঁরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিটির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের হিসাব অনুসারে, এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছে। জবাবে সেদিন থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার বেশির ভাগকেই বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। গাজা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত