যিনি সুন্দর হাসিতে মাতিয়ে রেখেছেন সবাইকে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ১৩:২৮ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৬

মাধুরী দীক্ষিত হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। প্রায়ই তাকে বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। অভিনয় জীবনে তিনি সত্তরের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৯০-এর দশক ও ২০০০-এর দশকের শুরুতে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন, এবং সাতবার ফোর্বস ভারত-এর ১০০ তারকার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সহজাত সৌন্দর্যচর্চা এবং নৃত্যকলায় সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে অনবদ্য ভূমিকার জন্য তাকে ২০০৮ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। 

১৯৮৪ সালে নাট্যধর্মী অবোধ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এরপর কয়েকটি চলচ্চিত্র ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে মারপিটধর্মী প্রণয়মূলক চলচ্চিত্র তেজাব-এর মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করেন ও দর্শক মহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলেন। ১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের নেতৃত্বদানকারী অভিনেত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী হিসেবে একচ্ছত্র প্রাধান্য ও প্রভাব বিস্তার করেন। এই সময়ে তিনি শীর্ষ আয়কারী প্রণয়মূলক নাট্যধর্মী দিল, বেটা, হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..!, ও দিল তো পাগল হ্যায় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি রাম লক্ষণ, ত্রিদেব, থানেদার, কিশেন কানাইয়া, সাজন, খলনায়ক, ও রাজা -এর মত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

দীক্ষিত অপরাধধর্মী পরিন্দা, প্রণয়মূলক নাট্যধর্মী প্রেম প্রতিজ্ঞা, ও দেবদাস চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং প্রহার, আঞ্জাম, মৃত্যুদণ্ড , পুকার, ও লজ্জা চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য সমাদৃত হন। ২০০২ সাল থেকে কয়েক বছর চলচ্চিত্র থেকে বাইরে থাকার পর ২০০৭ সালে তিনি সঙ্গীত-নৃত্যধর্মী আজা নাচলে চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন এবং পরবর্তী দশকে ব্ল্যাক কমেডিধর্মী ডেঢ় ইশ্‌কিয়া, অপরাধ নাট্যধর্মী গুলাব গ্যাং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার প্রথম মারাঠি চলচ্চিত্র বাকেট লিস্ট এবং তার সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র টোটাল ধামাল।

মাধুরী প্রায়ই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে গণমাধ্যমসহ প্রচার মাধ্যমের সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেন। তিনি মানবহিতৈষী কাজের সাথে জড়িত। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে শিশুদের অধিকার ও শিশুশ্রম বন্ধের জন্য কাজ করছেন। তিনি ভারত সরকারের "বেটি বাচাও বেটি পাড়াও" (মেয়েকে বাঁচাও মেয়েকে পড়াও) ক্যাম্পেইনের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োজিত। তিনি একাধিক কনসার্ট সফর ও মঞ্চ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন, সনি টিভি'র কাহিঁ না কাহিঁ কোই হ্যায় অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন এবং নৃত্যানুষ্ঠান ঝলক দিখলা জা, সো ইউ থিংক ইউ ক্যান ড্যান্স ও ড্যান্স দিওয়ানে অনুষ্ঠানের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি শ্রীরাম মাধব নেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত