তথ্যমন্ত্রী

যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা চলবে, ততোদিন গ্রেফতার অভিযানও চলবে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৩৮ |  আপডেট  : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আল কায়েদা বা আইএস  নেতারা যেভাবে গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করতো, এখন রিজভী সাহেবও সে রকম গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। আর অবরোধের নামে গাড়ি-ঘোড়ায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করাই হচ্ছে তাদের কর্মসূচি।

তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন রেখেছে যে, রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি অর্থাৎ পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘোষণা দিচ্ছে। প্রতিদিন অনেক গাড়ি-ঘোড়াতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, তারপরও তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না।’

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (১৩ নভেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব  জানানো হয়েছে।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়ার ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে, হামলা পরিচালনা করছে, অনেকে দাবি তুলেছে— পুলিশ কেন দেখামাত্র তাদের গুলি করে না। আজকে দাবি উঠেছে, প্রত্যেক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যতদিন এ ধরনের চোরাগোপ্তা হামলা চলবে, ততোদিন গ্রেফতার অভিযানও চলবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ মুরুব্বিয়ানা করবেন না। যারা মানবাধিকারের ধুঁয়ো তোলে, আমাদের দেশে মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী যারা মাঝে মধ্যে বিবৃতি দেয়, দেখলাম যে, তারা মির্জা ফখরুল সাহেবের মুক্তির জন্য বিবৃতি দিয়েছেন। তারা কেমন বুদ্ধিজীবী যে, এই আগুনসন্ত্রাস, এই পুলিশ হত্যা, আমাদের নারী কর্মীদের হেনস্থা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা, হাসপাতালে হামলা— এগুলোর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেন না! বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধি করে নিশ্চুপ আছেন, নাকি সব বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, সেটিই প্রশ্ন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৮ অক্টোবর কিছু করতে না পেরে এখন গার্মেন্টসে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে। আমি শ্রমিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানাবো, আপনারা নিজের প্রতিষ্ঠান যেটিতে কাজ করেন, সেটিতে হামলা বা ভাঙচুর করা মানে, নিজের গায়ে আঘাত দেওয়া। কারণ সেই প্রতিষ্ঠান আপনাকে এবং দেশকে  বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই কারও প্ররোচনায় আপনারা প্ররোচিত হবেন না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যারা হামলার প্ররোচনা দেয়, তারা নিজেদের শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়, কিন্তু ওরা কেউ শ্রমিক না। ওদের ঢাকা শহরে দামি ফ্ল্যাট আছে, গাড়ি আছে। ওরা মিটিংয়ে যখন যায় তখন রিকশায় যায়, গাড়ি দূরে রেখে যায়, খবর আছে আমাদের কাছে। আর তারা বাড়িতে কাউকে ডাকে না, অফিসে ডাকে। কারণ, নেতার এত সুন্দর বাড়ি দেখলে তো শ্রমিকরা বিগড়ে যাবে। এই শ্রমিক নামধারী বড়লোক নেতারাই উসকে দিচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত বাতাস দিচ্ছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকদের বেতন খালেদা জিয়ার আমলে ছিল মাসে ৮০০ টাকা, সেখান থেকে শেখ হাসিনা ডাবল করে ১৬০০ টাকা করেছিলেন। অন্য কোনও সরকার  আর তা বাড়ায়নি। আবার শেখ হাসিনা সেখান থেকে ৮ হাজার টাকায় নিয়ে গেছেন, এখন সাড়ে ১২ হাজার টাকায় এনেছেন। এর ওপর প্রতি বছর আবার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি। পাশাপাশি তাদের ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে তারা স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনতে পারবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শ্রমিকরা আমাদের ভাই, আমাদের বোন। আপনারা কষ্ট করেন বলে দেশের অর্থনীতির চাকা চলে। যারা প্ররোচনা দিয়ে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বাইরে থেকে গিয়ে হামলা করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করুন এবং আইনের হাতে তুলে দেন। আমাদের সরকার আপনাদের পাশে আছে, শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।’

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত