মোংলা বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ১৩:২৬ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:৫৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে গত ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কেটে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ছয়টি জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামার কাজ শুরু হয়।
এর আগে, সোমবার (২৭ মে) বিকাল থেকে এই বন্দরের অভ্যন্তরে জেটিতে শুরু হয় পণ্য ডেলিভারি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর সোমবার মহাবিপদসংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করার পর বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এদিন বিকাল থেকে জেটি থেকে পণ্য ডেলিভারি শুরু হয়। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়ায় নোঙর করা জাহাজে পণ্য উঠা-নামার কাজও শুরু হয়েছে।
যেসব জাহাজে পণ্য খালাস শুরু হয় সেগুলো হলো– বাংলাদেশ পতাকাবাহী ‘এমভি আম্মার’ (পাথর) পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি গ্যাস জিউস’ (গ্যাস), পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি ভি স্টার’ (সার), পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি ইয়াস স্কাই’ (ক্লিংকার) ও থাইল্যান্ড পতাকাবাহী ‘এমভি সুমি-২’ (গ্যাস)। এরমধ্যে পণ্য খালাস করে বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এম ভি মার্কেন্টাইল-৪৪’ জাহাজ বন্দর ত্যাগ করেছে।
এর আগে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আবহাওয়া অধিদফতর মোংলা সমুদ্রবন্দকে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখাতে বলার পর রবিবার (২৬ মে) সকাল ১০টায় জেটি থেকে জাহাজগুলোকে হারবাড়িয়ায় নিরাপদ নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে একই সময়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় বন্দরের নিজস্ব এলার্ট-৪ জারি করে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম।
এলার্ট-৪ হলো ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার সর্বোচ্চ ধাপ।
এটি জারি করার পর বন্দর চ্যানেল ও জেটি থেকে বড় জাহাজগুলোকে হারবাড়িয়ায় নিরাপদ নোঙরে পাঠানো হয়। এ ছাড়া পণ্য হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ার গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ (আরটিজি) সব কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টগুলোকে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত