মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার করে
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৪৫
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি প্রচারণায় গিয়ে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এর জবাব দিতে গিয়ে মুসলিমদের কন্ডোম ব্যবহার নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের প্রধান এবং হায়দ্রাবাদের প্রভাবশালী রাজনীতিক আসাদউদ্দিন ওয়াইসি . তিনি দাবি করেছেন, মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
মোদির সমালোচনা করে এআইএমআইএম প্রধান ওয়াইসি অভিযোগ করেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষের দেওয়াল তৈরি করছেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের সুরে ওয়াইসি দাবি করেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে মুসলিমদেব অবদানের যে ধারণা গড়ে তোলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। এই নিয়ে তিনি মোদি সরকারেরই তথ্যকে উদ্ধৃত করেন।
হায়দ্রাবাদের বিদায়ী এই সংসদ সদস্য ও চলমান লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ওয়াইসি বলেন, ‘কেন আপনি (নরেন্দ্র মোদি) এমন ভীতিপূর্ণ ধারণা তৈরি করছেন যে- মুসলিমরা বেশি সন্তানের জন্ম দেয়? মোদি সরকারেরই তথ্য বলছে- জন্মের হার এবং জনসংখ্যার নিরিখে মুসলিমরা পিছিয়ে আছে। মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করে। আর এটা বলার মধ্যে কোনও লজ্জা নেই।’
মোদির সমালোচনা করে ওয়াইসি অভিযোগ করেন, দলিত এবং মুসলিমদের প্রতি অকারণে ঘৃণার সঞ্চার করছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওয়াইসি বলেন, ‘একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন- জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ হলো অনুপ্রবেশকারী। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে মোদি দাবি করেছেন, বিরোধীরা যদি সরকারে আসে, তাহলে তারা সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে তা ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ মধ্যে বিলিয়ে দেবে।
কয়েকদিন আগেই রাজস্থানের বাঁশওয়ারাতে এক নির্বাচনী জনসভা থেকে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস এর আগে বলেছিল- দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার রয়েছে মুসলিমদের। তাহলে তারা যদি এখন সম্পত্তি পুনর্বণ্টন করে, তাহলে কাদের তা দেবে? এটা তাদেরকে দেওয়া হবে যাদের সন্তানের সংখ্যা বেশি। এই সম্পত্তি অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে। আপনাদের কষ্টার্জিত ধন কি এভাবে অনুপ্রবেশকারীদের বিলিয়ে দেওয়া যায়?’
নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্য ঘিরে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত