মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েলি সেনারা: যুক্তরাষ্ট্র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৬ |  আপডেট  : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১১

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ইউনিট ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতেও জানানো হয়েছে, তারপরও ইসরায়েলি বাহিনীকে সামরিক সমর্থন দিয়ে যাবে মার্কিন প্রশাসন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

যেসব স্বতন্ত্র ঘটনায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার সব কটিই ঘটেছে ফিলিস্তিনের গাজার বাইরে; চলমান যুদ্ধ শুরুর আগেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে সব ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত চারটি সেনা ইউনিটের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। পঞ্চম ইউনিটের বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। এর অর্থ হলো ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সবগুলো ইউনিটই মার্কিন সামরিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সাহায্যকারী দেশ। প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা  সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় সেনাদের কোনও জবাবদিহিতা ছিল কি না তা বলতে অক্ষম থাকা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের সব ইউনিটকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় রাজনৈতিক চাপের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বেদান্ত বলেছেন, আমরা একটি প্রক্রিয়ায় তাদের সাথে জড়িত আছি। যখন সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে তখন আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

১৯৯৭ সালে তৎকালীন সিনেটর প্যাট্রিক লেহি একটি আইন করেছিল যা লেহি আইন নামে পরিচিত। এই আইন অনুসারে কোন বিদেশি সেনা ইউনিট যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকে, তাহলে সেই ইউনিটকে মার্কিন সামরিক সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হবে। লেহি আইনে, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং ধর্ষণকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত পঞ্চম ইউনিটটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়ন। ১৯৯৯ সালে শুধু পুরুষ সেনাদের নিয়ে এ ইউনিট গঠন করা হয়েছিল। আল্ট্রা–অর্থোডক্স ইহুদিরা এ ইউনিটের সদস্য।

এই ইউনিটের বিরুদ্ধে আগেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় এই ইউনিটের বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ অপরাধ তদন্ত এবং সম্পূর্ণ জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারে এই অভিযোগে ইউনিটটি মার্কিন সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা হারাবে কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ইউনিটটি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ায়, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত