মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩, ১২:৫২ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৫
মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা, অবৈধ বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ একাধিক দপ্তরে আবেদন করার পরেও বহাল তবিলতে রয়েছে রেজাউল করিম। দ্রুততার তার বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সচেতন মহলের। মামলার এজাহার ও লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. রেজাউল করিম স্থানীয় লোকজনের সাথে সংঘর্ষে জড়িত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের হয়। যেখানে তাকে দোষী করে একই বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জসীট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করে। এরপরেও তথ্য গোপন করে তিনি চাকুরী বহাল তবিলতে রয়েছে। এছাড়াও তিনি ফরিদপুরের আদালতে হাজির হওয়ার দিনেও কর্মস্থলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে অনিয়ম করেন। অভিযোগে আরো জানা যায়, রেজাউল করিম ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় চাকুরী অবস্থায় ১৭ জন শিক্ষকের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে ৫১ লাখ টাকা আত্মসাত করে।
বিষয়টি যখন প্রকাশ পায়, তখন তিনি তড়িঘড়ি করে রাজৈর উপজেলায় বদলি হয়ে আসে। এরপরে রাজৈর থেকে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলি হয়ে আসে। এখানে এসে তিনি রাজৈর উপজেলার তুস্ট চরণ মন্ডল, সুষমা ও মো. এমদাদ হোসেনের কাছ থেকে অর্ধ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের থেকে উৎচোক গ্রহণ করার অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ফদিরপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেরর মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। বরং বহাল তবিলতে চাকুরী করে আসছেন। বিয়ষটি নিয়ে সচেতন মহলে কানাঘোষা শুরু হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয় রেজাউল করিম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। বরং তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে আইনী লড়াইয়ের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে উচ্চতন মহলকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি বর্তমানে জেলা অফিসে কর্মরত রয়েছে।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত