মাদারীপুরে ৪০ মন ওজনের ‘রাজা বাবু’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ১৫:০৯ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪

মাদারীপুরের রাজাবাবু, নামেও রাজা গঠনেও রাজা। মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামে ৪০ মন ওজনের রাজাবাবুর সাথে সেলফি তুলতে ব্যস্ত রাজাবাবুকে দেখতে আসা উৎসুক জনতা। সখ করে নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা বাবু’। কোরবানীর হাটে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজাবাবুুুকে । রাজা বাবুর দাম হাকা হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ লাখ টাকা। 

তবে দাম নিয়ে কড়াকড়ির চেয়ে যারা আদর ও যত্ম সহকারে গরুটি কিনবে তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দেয়া হবে জানান মালিক মফেল ভূইয়া। সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, খইল, ভূসি খাইয়েই গরুটিকে লালন পালন করেছে। নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসেন খামারী। গরুটিকে দেখতে ভীড় করছে আশে পাশের মানুষ। অনেকেই তুলছেন সেলফি। দিচ্ছেন বাহারী ক্যাপসনে পোস্ট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়াল ঘর থেকে বের করা হচ্ছে রাজা বাবুকে। তাকে সামাল দিতে ব্যস্ত রাজা বাবুর মালিক মফেল ভূইয়া ও তার দুই সন্তান। গতবার কোরবানীর ঈদে গরুটির দাম উঠেছিল ১০ লাখ কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিক্রি করা হয়নি গরুটিকে। এবার আরো যত্ন করে বড় করেছেন রাজা বাবুকে। ৪০ মন মাংস হওয়ার দাবী খামারীর। 

এ ব্যাপারে মফেল ভূঁইয়া বলেন, ‘সম্পূর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভূসি, খইল খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে রাজা বাবুকে। সাবান শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন গোসল করানো হয় গরুটিকে। পরম যত্মে গরুটিকে পালন করতে পরিবারের সদস্যরাও কষ্ট করছেন। বিশালাকৃতির গরুটি প্রায় সাড়ে ৯ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন। তাই ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করা হয়। যদি কেউ কিনতে চায়, তাহলে আমার ঠিকানায় আসলেই হবে। আমার সন্তানের মতো লালন করেছি রাজা বাবুকে।’

মফেল ভূইয়ার গরু ছাড়াও মাদারীপুর জেলায় ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক খামারী রয়েছে। এবারের কোরবানীর ঈদে এসব গরু বিক্রি হবে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবী খামারীদের।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত