হাতের সাথেই উঠে যাচ্ছে পিচ, নিম্নমানের কাজের অভিযোগ

মাদারীপুরে সামাজিক যোগাযোগে ভারইরাল: টক অব দা টাউন রাস্তা সংস্করন

  মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৬

মাদারীপুরে সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল হওয়া রাস্তা সংস্করণের ভিডিও নিয়ে জেলা শহর জুড়ে আলোচনার ঝড় বইছে।  এখন এই বিষয়টি টক অফ টাউন এ পরিনত হয়েছে। রাস্তা সংস্করণ কাজের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তদারকি না করার কারনইে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্ন মানের নির্শান সামগ্রী এমনই অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না-হতেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) উঠে গেছে এবং হাতের সাথে উঠে যাচ্ছে পিচ। তবে এলজিইডি বলছে, কাজের মান খারাপ হলে পুনরায় করে দিবে ঠিকাদার। ঠিকাদারের দাবী সঠিক নিয়মের কাজ করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাংলাবাজার-দুধখালী সড়কে ১কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা করা হয়। কাজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিকে এন্টারপ্রাইজ  সম্পন্ন করে। এই সড়কের বিভিন্ন অংশের পিচ ঢালাই উঠেগেছে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই।  

এলজিইডি সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত¡াবধানে জিওবি মেইনটেন্যান্স প্রকল্পের আওতায় খানাখন্দে ভরা প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের সংস্কার অনুমোদন হয়। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না-হতেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) উঠে গেছে। পাথর, বিটুমিনসহ চলমান সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যান চলাচল করায় এই কার্পেটিং অনেক জায়গায় উঠে গেছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার বাসিন্দা নীরব মুন্সি বলেন,‘কাজ খুবই নিম্নমানের হয়েছে। হাতের সাথেই উঠে যাচ্ছে পিচ। রুটির মত রোলিং হয়ে উঠে যাচ্ছে। ভাড়ির গাড়ীর চাকার সাথে উঠে যাচ্ছে।’

 শুধু নীরব মুন্সী নয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, সড়কটি সংস্কারে এতটা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে যে, কাজ শেষ হতে না-হতেই সড়কের অনেক অংশের পিচ ঢালাই উঠে গেছে। হাত দিয়ে টান দিলেই পিচ উঠে যাচ্ছে।স্থানীয়দের দাবী, ঠিকাদারের লোকজন গাছের পাতা ও ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার না করে কাজ করেছেন।

নিয়ম অনুসারে কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। তা না করে গাছের পাতা ও ময়লার ওপরই চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিম্নমানের বিটুমিন, বালি, পাথরের মিশ্রণে কাজ করায় যানবাহন চলাচলের সময় চাকার সঙ্গে অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘৬জন ইঞ্জিনিয়ার কাজটি তদারকি করেন। যেভাবে কাজ ধরা আছে ঠিক সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম করা হয়নি।

সংস্কারকাজে কোনো অনিয়ম হলে পুনরায় কাজ করে দিবে বলে জানালেন মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কৃত্তনীয়া। তিনি বলেন, আমরা সাইট ভিজিট করে যদি আনয়ম পাই তাহল ঠিকাদার পুনরায় কাজ করে দিবে।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত