মাদারীপুরে শিবচরে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগ

  এসআর শফিক স্বপন,মাদারীপুর প্রতিনিধি:

প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৫, ১৪:৪৬ |  আপডেট  : ৫ জুন ২০২৫, ১০:০৬

এসএসসি পরীক্ষার চারটি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের থেকে ২০০ টাকা থেকে ৮০০ করে বাধ্যতামূলক আদায় করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর রহিম উদ্দিন মাদবর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় কৃষি শিক্ষা বিষয়ে ২০০ থেকে ৩০০ করে টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৮০০ টাকা না দিলে নম্বর কম দেওয়া হবে এবং এতে পরীক্ষায় ভালো ফল থেকে তারা বঞ্চিত হবে বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজা বেগম ও জয়দেব বাড়ৈ । ফলে বাধ্য হয়ে সকল পরীক্ষার্থী উক্ত টাকা করে দিতে বাধ্য হয়েছে। গত ১৫ ও ১৭ মে শিবচর উপজেলাার শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাদবরেরচর রহিম উদ্দিন মাদবর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোট জন শিক্ষার্থী ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাহফুজা বেগম বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেওয়া ১৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ৮০০ করে টাকা নেন। এদের মধ্যে মেয়েরা ৮ জন সবাই ৮০০ করে টাকা দিলেও কয়েকজন ছেলে দুই একশত টাকা করে কম দেন।

অন্যদিকে কৃষিশিক্ষা বিষয়ের জন দুইশত থেকে তিনশত টাকা নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদবরেরচর রহিম উদ্দিন মাদবর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান,আমাদের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে আদায় করা হয়েছে । মাহফুজা ম্যাডাম আমাদের সবাইকে নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৮০০ করে টাকা নেন।এই টাকা সব শিক্ষক ভাগবাটোয়ারা করে নেবেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে মাদবরেরচর রহিম উদ্দিন মাদবর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোতালেব শিকদার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষকদের দায় স্বীকার করে বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, যে চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারা কেউই এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।এবং তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করো কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় জেলা শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভীন খানম বলেন, 'তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কা/আ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত