মাদারীপুরে চোখ হারিয়ে দিশেহারা শুভ
প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৮ | আপডেট : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৯
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে চোখ হারিয়ে দিশেহারা মাদারীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের চর কুকুরাইল এলাকার সোহেল বেপারীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে শুভ বেপারী (১৯)। বৃহস্পতিবার সকালে পৌর এলাকার শহরের কুকুরাইল এলাকায় ২ নং পুলিশ ফারির পাশে চা’য়ের দোকানে বসে কান্না জড়িত কন্ঠে শুভ বলেন, অনেক আশা ছিল লেখাপড়া করে সরকারী চাকুরী করে অসহায় বাবা ও মাকে নিয়ে খুব স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করবো। কিন্ত কি হতে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
১৮ জুলাই সকালে মস্তফাপুরের বন্ধুুদের সাথে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেই। মাদারীপুর শহরের ডিসির বাসার সামনে শকুনী লেকপাড়ে আন্দোলনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও পুলিশের এবং আমরা ত্রি মুখী লড়াই চলছে। আমরা আমাদের মেয়েদের সেভ করি এবং ছত্রভঙগ হয়ে যাই। পরে কুকরাইল বাস ষ্টান্ডের সামনে অবস্থিত মাতৃভুমি হোটেলের সামনে এলে হোটেল থেকে পুলিশ এলাপাথারি গুলি ছুড়তে থাকে। যে যার মতো এদিক সেদিক পালিয়ে যাই এ সময় আমাদের ৭ জন ছাত্র আহত হয়। বিকেলে আমরা থানতলী এসপি অফিসের সামনে এলে কয়েকজন পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ওই গুলিতে আমার এক চোখ নষ্ট হয়ে যায় আরেক চোখ ঝাপসা দেখি। আমার সারা শরীর স্প্রিন্টারে ঝাঝরা হয়ে আছে। এখোনা আমার শরীরে গুলি আছে। যন্ত্রনায় রাতে ঘুমাতে পারিনা। কপালে হাত দিলে গুলি অনুভব করা যায়।
আহত শুভ’র মা লিপি বেগম জানান, শুভ ওর বাবার সাথে চায়ের দোকানে কাজ করতো শুভ ও ওর বাবা দুজনে মিলে দোকান কওে ভালোভাবেই সংসার চলছিল। শুভ চরমুগরিয়া কলেছে এইচএসসির ছাত্র। ওর চোখ হারিয়ে এখন দোকান ও লেখাপড়া দুটোই বন্ধ প্রায়। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশন তেকে ১ লাখ টাকা পেয়েছি। আর কোন সাহায্য পাই নাই। আমি গরীব মানুষ এতো টাকা কোথায় পামু। কিস্তি এনে ছেলের চিকিৎসা করাইছি। কিস্তি ওয়ালার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ঠিকমতো ছেলের চিকিৎসা চলছে না। মনে হয় সরকারী ফ্্ির চিকিৎসা দেইক্যা ডাক্তারে ঘুরাচ্ছে। আমার ছেলে সুস্থ হয়ে লেখাপড়া করে বড় চাকুরী পাবে এটাই সরকারের কাছে দাবী। সস্থ হয়ে আবার লেখাপড়ায় ফিরে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা আহত শুভ বেপারী।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত