মসজিদের বৈধ কমিটির বিরুদ্ধে অবৈধ কমিটির ঘোষণায়  মুসুল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা

  নজরুল ইসলাম শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৫ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মসজিদের বৈধ কমিটির বিরুদ্ধে অপর একটি গ্রুপ অবৈধ কমিটি ঘোষনা দেয়ায় স্থানীয় মুসুল্লিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের দক্ষিন ফৈনপুর জামে মসজিদের বর্তমান বৈধ কমিটির বিরুদ্ধে আরেকটি অবৈধ কমিটি ঘোষনা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার মৃত সুর্যত আলীর ছেলে সাইদ পাঠান, মৃত মন্নাফ শেখের ছেলে হারুন শেখ, মহিউদ্দিন মিয়া,তাজুল, মিজান ঢালীগংয়ের বিরুদ্ধে। 

বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, দক্ষিন ফৈনপুর জামে মসজিদ কমিটির জন্য দিন মোহাম্মদ খান ও ছাইদ পাঠান দুই পক্ষ কমিটি জমা দেন। এতে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রাশসক মিস,ই,সি নং-০১/২০২৪ইং১৬.০২.০০০০.০১৯.৩১.০০০.২৪/১৬১ স্বারক মুলে ছাইদ পাঠানের কমিটিকে বাতিল করে এবং গত ৩১ জুলাই ওয়াকফ এস্টেট(মিস ইসি নং-৩৯/২০২৩) রূপান্তরক্রমে ২২৬৪১(৬৪)২৪ নং ইসি নথি তালিকাভুক্ত করে

দিন মোহাম্মদ খানকে সভাপতি/মোতাওয়াল্লী ও স্বপন ঢালীকে সাঃ সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি অনুমোদন দেন। 

স্থানীয়রা জানান, দেশের রাজনৈতীক পট পরিবর্তনের পর গত ৩০ আগষ্ট শুক্রবার জুম্মা নামাজের সময় মসজিদের মীম্মারে দাড়িয়ে হারুন শেখ বলেন,  নতুন সরকার সব মসজিদ কমিটি বাতিল করেছে, আজকে আমরা মসজিদ কমিটি করব

আগের কমিটির বাদ দিয়ে নামাজ শেষে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে এবং সাইদ পাঠানকে সভাপতি, হারুন শেখ নিজে সাঃ সম্পাদক ও  মহিউদ্দিন মিয়াকে সাংগঠনিক করে আংশিক কমিটি ঘোষনা দেন। ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম্মা নামাজ শেষে উজ্জল ও মিজান ঢালীকে সদস্য করে মৌখিক ভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা দেয়ায় মুসুল্লিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিপূর্বে সাইদ পাঠান মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে মসজিদের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি বরং মসজিদ ফান্ডের আড়াই লক্ষ টাকার কোন হিসেবে দিচ্ছে না চাইলে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং অবৈধ কমিটি ঘোষনা দিয়ে বৈধ কমিটিকে মসজিদ উন্নয়নে কোন কাজ করতে দিচ্ছে না।

এব্যাপারে সাইদ পাঠানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগের কমিটির সভাপতি পদ থেকে আমাকে প্রভাব খাটিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন তারা কমিটি করে আমাকে পূনরায় সভাপতি করেছে । আমি নিজে মসজিদে উপস্থিত ছিলাম না। সভাপতি থাকাকালিন মসজিদ ফান্ডের আড়াই লক্ষ টাকা আপনার কাছে আছে  আপনি সে টাকার হিসেব দিচ্ছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে যখন সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়,  তখন নতুন আরেকটি মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসুল্লিরা আমার কাছে এক লক্ষ টাকা দিয়েছে। কিন্তু তারা সে টাকা নতুন মসজিদ নির্মানের জন্য দিয়েছে এই মসজিদ উন্নয়নের টাকা নয়। 

এব্যাপারে হারুন শেখ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনও কমিটি করি নাই শুধু প্রস্তাব করেছি। এর আগের কমিটি থেকে আঃলীগের প্রভাব খাটিয়ে সভাপতি সাইদ পাঠানকে বাদ দিয়ে কমিটি করেছে তারা। তাদের কমিটি কি বৈধ? 

স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন বলেন, রাজনৈতীক পট পরিবর্তন হওয়ার পর একটা গ্রুপ মৌখিক ভাবে অবৈধ একটি কমিটি ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু আগের কমিটি ওয়াকফ করা কমিটি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত