ভোটারদের রায় সবাইকে মেনে নেওয়ার আহ্বান মালালার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০

পাকিস্তানে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নাটকীয়তা। ভোটগ্রহণের দুইদিন পরও নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল এখনও প্রকাশ হয়নি। এখন পর্যন্ত যে ফলাফল সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

আবার আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও জয় দাবি করেছেন। এমন অবস্থায় সবাইকে ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী নারী মালালা ইউসুফজাই। একইসঙ্গে পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিতেও সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ দরকার বলে জানিয়েছেন দেশটির নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। একইসঙ্গে নির্বাচিত ব্যক্তিদের ভোটারদের সিদ্ধান্তকে অনুগ্রহের সাথে মেনে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

২৬ বছর বয়সী এই নারী ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার, যার মধ্যে ভোট গণনার স্বচ্ছতা এবং ফলাফলের প্রতি সম্মানও থাকবে।’ তিনি বলেন, বরাবরের মতো আমি আজও বিশ্বাস করি, আমাদের অবশ্যই ভোটারদের সিদ্ধান্তকে অনুগ্রহের সাথে মেনে নিতে হবে। আমি আশা করি আমাদের নির্বাচিত কর্মকর্তারা - সরকার বা বিরোধী দল যেখানেই হোক না কেন - পাকিস্তানের জনগণের জন্য গণতন্ত্র এবং সমৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেবেন।’

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টি। এর মাঝে ২৫৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলেছে, ফলাফল ঘোষণা করা ২৫৬টি আসনের মধ্যে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৩টি আসনে জয়ী হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৩টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টিও ৫৪টি আসনে জয় পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাকিগুলো ছোট কিছু দল জিতেছে।

মূলত ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দল হিসাবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে ইমরান খান এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উভয়ই শুক্রবার বিজয় ঘোষণা করেন। এই অবস্থায় কে পরবর্তী সরকার গঠন করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে, সেটিও আবার এমন এক সময়ে যখন দেশটিতে একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এমন অবস্থায় ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান গহর খান পাকিস্তানের ‘সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে’ তার দলের ম্যান্ডেটকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যারিস্টার গহর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী হিসেবেও কাজ করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, শনিবার রাতের মধ্যে ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা না হলে দলটি রোববার সারাদেশে সরকারি অফিসের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করবে।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত