ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্মতি
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২১, ২০:৪৯ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৯
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা।
যা আগে ছিল ১৫৩ টাকা। সে হিসেবে প্রতি লিটার তেলের দাম বাড়ছে সাত টাকা। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব এ প্রস্তাব অনুমোদন দিলে তা বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের মজুদ পরিস্থিতি, আমদানি ও দাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম আমরা ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করেছিলাম। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছিলো তাই তারা ৮/১০ দিনের মধ্যে মূল্য বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। ২০১১ সালের আইন অনুযায়ী প্রতি ১৫ দিন অন্তর ট্যারিফ কমিশন অ্যানালাইসিস করে সুপারিশ করবে। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রিফাইনারিদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য নির্ধারণ করে। পরে রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন তাদের অফিসিয়াল প্যাডে এটা ডিক্লেয়ার করে।
তেলের বিষয়ে আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব ছিল বোতলজাত কেজিপ্রতি তেল ১৬৮ টাকা করার। ট্যারিফ কমিশন একাধিকবার বসে অ্যানালাইসিস করে ১৬২ টাকা প্রস্তাব করেছে। এটা ছিল সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাভারেজ রিপোর্ট। আজকে আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে প্রতিকেজি বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৬০ টাকা। যা আগে ছিল ১৫৩ টাকা। নতুন করে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে, প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৩৬ টাকা। বোতলজাত পাঁচ লিটার তেলের দাম ৭৬০ টাকা, আর পাম তেল ১১৯ টাকা। যা আগে ছিল খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১২৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৭২৮ টাকা ও পাম তেল ১১৬ টাকা।
তিনি বলেন, এই প্রস্তাব বাণিজ্য সচিবের কাছে উপস্থাপন করা হবে। সচিব মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এটি চূড়ান্ত করে রিফাইনারিদের জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে রিফাইনারিরা তাদের প্যাডে এটি ঘোষণা করবেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, গত মাসে ওনারা যে আবেদন করেছিলেন গত ৪ অক্টোবর ট্যারিফ কমিশন চিনি ও তেলের ক্ষেত্রে আমাদের রিপোর্ট দেয়। পেঁয়াজের দাম অস্থির ছিল। গত এক সপ্তাহে আমরা স্পেশাল ফোকাস দিয়ে, আল্লাহ রহম করেছে, পেঁয়াজের বাজারটা মোটামুটি একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি।
মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এতে ভারতের ওপর পেঁয়াজ আমদানির নির্ভরতা কমবে। আমি ধারণা করছি, পেঁয়াজের বাজার আর অস্থির হবে না। পেঁয়াজে আমরা স্বস্তি দিতে পারবো এই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করতে পারি।
চিনির বিষয়ে শফিকুজ্জামান বলেন, মিটিংয়ে চিনির রেগুলেটরি ডিউটি কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে তা অ্যাসেসমেন্ট করে মানুষকে একটু জানিয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত