ভার্জিনিয়ায় '১৯৭১ সেই সব দিন' সিনেমার কলাকুশলীরা
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৮ | আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩১
আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে হৃদি হক পরিচালিত সিনেমা '১৯৭১ সেই সব দিন'। প্রচারণায় অংশ নিতে নির্মাতা হৃদি হকসহ সিনেমা সংশ্লিষ্টরা এখন আমেরিকায় অবস্থান করছেন। সেখানে বাঙালি কমিউনিটিতে প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানেও অংশ নিচ্ছেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ভার্জিনিয়ার স্টারলিংয়ের ক্লব রেস্টুরেন্টে বেঙ্গল ইভেন্টের সহযোগিতায় উত্তর আমেরিকায় বাংলা সিনেমার প্রচারকারী সংগঠন বায়োস্কোপ আয়োজন করে '১৯৭১- সেই সব দিন' শীর্ষক প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বায়োস্কোপ জানায়, আগামী ৫ নভেম্বর ২০২৩, ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সের সিনেমা আর্টস থিয়েটারে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে প্রদর্শিত হবে '১৯৭১- সেই সব দিন'।
সিনেমাটির প্রচারণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও কাহিনী রচয়িতা হৃদি হক, প্রযোজক ও সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান রনি, অভিনেতা লিটু আনাম, সাজু খাদেম এবং অভিনেত্রী তারিন জাহান, মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে।
হৃদি হক বলেন, সিনেমাটি নির্মাণে কোনও ধরনের পুরোনো ক্লিপস ব্যবহৃত হয়নি। শুরু থেকে শেষ অবদি চিত্রায়িত করা হয়েছে, গল্পের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী স্পট সাজানো হয়েছে। গল্পটি যেন নতুন প্রজন্মের কাছে ১৯৭১ কে নতুন করে উজ্জীবিত করে তুলে সে বিষয়টি মাথায় রেখে প্রজন্মগত যে চিন্তা শক্তির ব্যবধান এর সবকিছুই একটি ফিউশন আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
অভিনেতা সাজু খাদেম বলেন, নির্মাতা হিসেবে সিনেমা জগতে হৃদি হকের প্রথম পদক্ষেপ হলেও তার কাজ অনেক নিপুণ। তিনি সিনেমাটি নির্মানের জন্য দীর্ঘ ৫ বছর ধরে গবেষণা করেছেন। অভিনয় করার পূর্বে আমরা অনেকেই কিছু কিছু কাহিনী নিয়ে শংকিত ছিলাম যে, কি করে চিত্রায়িত করা হবে। কিন্তু হৃদি সেটি সাবলীলভাবেই করে দেখিয়েছেন এ ধরনের কঠিন বিষয়টিও পর্দায় তুলে আনা সম্ভব।
অভিনেত্রী তারিন জাহান বলেন, ১৯৭১ সেই সব দিন। সিনেমার টাইটেলটা শোনা মাত্রই আমরা যেন ভাবনার জগতে ডুবে যায়। ৭১ এর পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে শুরু করে ৭১ এর পরবর্তী প্রজন্ম সবার মাঝেই ফুটে উঠে মহান মুক্তিযুদ্ধ। হৃদি হক তার সিনেমায় ১৯৭১ এর গল্পকে নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের ভাবনার আদলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আমেরিকায় প্রবাসী বাঙালীদের নতুন প্রজন্ম ভাষাগত জটিলতায় বাংলা সিনেমা দেখতে আগ্রহী নাও হতে পারে। সে বিষয়ে সিনেমাটি তাদের কাছে প্রদর্শনের জন্য কি ব্যবস্থা রয়েছে জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা লিটু আনাম বলেন, প্রথমত, অভিনয়ের যে নিজস্ব ভাষা রয়েছে তা সবার কাছেই গ্রহনযোগ্য। তারপরও সিনেমাটিতে সাবটাইটেল রয়েছে।
তিনি এটিও উল্লেখ করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি সাবটাইটেলের পক্ষে নন। তিনি মনে করেন সাব টাইটেল পরতে গিয়ে অনেক সময় সিনেমার মূল কনসেপ্ট থেকে দূরে সরে যাওয়া হয়। তার চেয়ে অভিনয়কে লক্ষ্য করলে গল্প ভাল বুঝা সম্ভব।
বায়োস্কোপ ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশনের কর্ণধার রাজ হামিদ ও রুবানা রশিদ সবার সামনে উত্তর আমেরিকায় নানা প্রতিকুলতা অতিক্রম করে বাংলা সিনেমা প্রচারের কাজ কিভাবে করে যাচ্ছেন তা তুলে ধরেন।
রাজ হামিদ বলেন, আমরা এ কাজটি করছি কেবল মনের ভেতরে দেশের প্রতি যে টান অনুভব করি সেটিকে মূল্যায়ন করার জন্য।
রুবানা রশিদ বলেন, আমরা জানি, আমাদের মত সব বাঙালিরা সেটি অনুভব করেন। তাই সিনেমা দেখতে আসুন। আমরা সবাই মিলে ফিরে যাই ১৯৭১ এর সেই সব দিনে।
অনুষ্ঠান শেষ হয় তারিন জাহান ও কামরুজ্জামান রনির কণ্ঠে 'যাচ্ছো কোথায়' গানটি গেয়ে শুনানোর মধ্য দিয়ে।
বাংলা ইভেন্টের কর্ণধার ও ভার্জিনিয়ায় সিনেমাটি প্রদর্শনের আয়োজক তারেক মেহেদি সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত