ব্রিটিশ শাসনামলে বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৩৩ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:৫৯
১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে কুর্মিটোলায় উড়োজাহাজ নামার জন্য একটি রানওয়ে তৈরি করে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর তেজগাঁও বিমানবন্দরটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বিমানবন্দর হয়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার কুর্মিটোলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ফরাসি বিশেষজ্ঞদের মতে টার্মিনাল নির্মাণ এবং রানওয়ে নির্মাণের জন্য টেন্ডার চালু করা হয়। নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন জন্য একটি রেল স্টেশন (বর্তমান এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন) নির্মিত হয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি অর্ধেক সম্পন্ন অবস্থায় ছিল।কিন্তু যুদ্ধের সময় বিমানবন্দরে গুরুতর ক্ষতি সাধিত হয়।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার পরিত্যক্ত কাজ পুনরায় চালু করে এবং এটিকে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূল রানওয়ে এবং কেন্দ্রীয় অংশটি খোলার মাধ্যমে ১৯৮০ সালে এয়ারপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিমানবন্দরটির শুভ উদ্বোধন করেন। রাজনৈতিক কারণে আরও তিন বছর লাগে এটি সম্পন্ন হতে। অবশেষে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন।
২০১০ সালে ক্ষমতাসীন সরকার বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ হয়রত শাহজালালের নাম অনুসারে বিমানবন্দরের নাম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করা হয়৷
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত