ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: ঘটনার সূত্রপাত উদঘাটনে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে যা পায় পুলিশ

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২২, ১১:০৮ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৭

ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার নিউমার্কেট এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে নাহিদ হাসান নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪ সংবাদকর্মী, অর্ধশত শিক্ষার্থীসহ শতাধিক ব্যক্তি।

তবে সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কেউ শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজি, কেউবা কমদামে পণ্য কেনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন।

এবার প্রকাশ্যে আসলো মূল ঘটনা। নিউমার্কেটের রাস্তায় দুই ফাস্টফুড দোকানের টেবিল বসানো নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদ থেকে এ সংঘাতের শুরু হয়। এই বিবাদে একপক্ষ আরেক পক্ষকে শায়েস্তা করতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনে।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত

জানা গেছে, নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেটের ভেতরে ‘ওয়েলকাম’ ও ‘ক্যাপিটাল’ নামের দুটি ফাস্টফুডের দোকানের মালিক আপন দুই চাচাতো ভাই।ইফতারের সময় মার্কেটের ভেতরে হাঁটার রাস্তায় টেবিল পেতে ইফতারি বিক্রি করেন এই দুই দোকানি।

মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় টেবিল পাতা নিয়ে ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পী ও ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র হাতে বাপ্পীর সমর্থক ১০-১২ তরুণ সেখানে আসে। এ সময় কাওসারের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর বাপ্পীর সমর্থকরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দল নিয়ে কাওসারের দোকানে হামলা চালায়। এরপরই দুইপক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।

ওয়েলকাম ফাস্টফুডের মালিক ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের মালিক শহিদুল ইসলাম সরদারও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

নিউমার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাহেব আলী গণমাধ্যমকে বলেন, “দোকানের কর্মচারীদের একপক্ষের হয়ে ঢাকা কলেজের ছেলেরা এসেছিল। এরপর এই ঝামেলা শুরু। অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।”

সিসি ক্যামেরা ফুটেজে যা পায় পুলিশ

একাধিক সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের সঙ্গে মিল পেয়েছে। পুলিশ জানায়, মূল ঘটনা ধরা পড়ে রাত ১১টা ৩ মিনিটে। রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল মার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডে ঢোকে। সেখানে দোকানের বাইরে হট্টগোল হয়। কিছুক্ষণ পর মার খেয়ে ওই তরুণরা পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেলমেটধারী কিছু তরুণ ৪ নম্বর গেট ভাঙতে থাকেন। রাত ১২টার দিকে তারা ২ নম্বর গেট খুলে মার্কেটে ঢুকে ভাঙচুর করে বেরিয়ে যান। তখন ব্যবসায়ীসহ হকাররা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত