বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম আইসিটি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২১, ১৯:২৩ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩

এ সপ্তাহে ‘এমডব্লিউসি বার্সেলোনা ২০২১’-এ আয়োজন করা হয় ‘হুয়াওয়ে ডে জিরো গ্রিন ফোরাম’ শীর্ষক বিশেষ সেশন, যেখানে হুয়াওয়ে ওয়েস্টার্ন ইউরোপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড লি সহ খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। 
   
ফোরামটির এ বছরের আলোচনার মুখ্য বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে ইইউ গ্রিন ডিলের সাথে আইসিটি খাতের সম্পৃক্ততা এবং টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ভূমিকা, যেখানে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে অপারেটরদের গ্রিন টেলিকম নেটওয়ার্ক স্ট্র্যাটেজি এবং তারা যে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় তার কেস স্টাডি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে লি আইসিটি খাত কীভাবে গ্রিন ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দান করতে পারে, সে প্রসঙ্গে বলেন, “আইসিটি সমাধানের মাধ্যমে আমরা অন্যান্য শিল্পখাতে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনার জন্য সহায়তা দিচ্ছি। আমরা এই আইসিটি সহায়তামূলক প্রক্রিয়ার নাম দিয়েছি ‘কার্বন হ্যান্ডপ্রিন্ট’। মোট কার্বন নিঃসরণের কেবলমাত্র দুই শতাংশের জন্য আইসিটি খাতের কার্বন দায়ী। কিন্তু আইসিটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব।” 

তিনি আরও জানিয়েছেন, হুয়াওয়ে বিটের মাধ্যমে ওয়াট ম্যানেজমেন্টে বিশ্বাসী। এখানে, বিট বলতে ডিজিটাল ইনফরমেশনের প্রাথমিক ইউনিট এবং ওয়াট বলতে এনার্জি বা জ্বালানির প্রাথমিক ইউনিটকে বোঝায়। অর্থাৎ, বিটের মাধ্যমে ওয়াট ম্যানেজমেন্ট ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে আরো কার্যকরী উপায়ে জ্বালানির ব্যবস্থাপনা নির্দেশ করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা তাঁদের বক্তব্যে এই অঞ্চলের গ্রিন প্ল্যানের সাথে আইসিটির নিবিড় সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গে গুরুত্বারোপ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন –  সুসানা সলিস পেরেজ (মেম্বার, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট), স্টিভেন মুর (হেড অব ক্লাইমেট, জিএসএমএ), মনিকা সালা (চিফ টেকনোলজি অফিসার, অরেঞ্জ স্পেন), হুয়ান ম্যানুয়েল কারো বেরনাট (ডিরেক্টর অব অপারেশনাল ট্রান্সফরমেশন, টেলেফোনিকা গ্রুপ), ব্ল্যাঙ্কা সেনিয়া (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ভ্যান্টেজ টাওয়ারস স্পেন) এবং জেমস ক্রশো (প্রিন্সিপাল অ্যানালিস্ট অব সার্ভিস প্রোভাইডার অপারেশন্স অ্যান্ড আইটি, অমডিয়া ইনফর্মা টেক)।

টেকসই বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা সমূহের প্রবক্তা হিসেবে দীর্ঘকাল ধরেই টেলিকম অপারেটরদের ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। ২০১৬ সালে প্রথম ইন্ডাস্ট্রি ভার্টিকাল হিসেবে মোবাইল খাতই জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। তবে, ‘জিরো-কার্বন’ লক্ষ্য অর্জন করার জন্য এখনও অপারেটরদের বিস্তৃতভাবে নেটওয়ার্ক রূপান্তর প্রয়োজন, এবং হুয়াওয়ের সাম্প্রতিক বিবৃতি থেকে এটি আবারো স্পষ্ট হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি এই প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

স্পেনের বার্সেলোনায় গত ২৮ জুন শুরু হয়েছে এমডব্লিউসি বার্সেলোনা ২০২১, যা চলবে আগামী ০১ জুলাই পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের প্রোডাক্ট এবং সল্যুশন সমূহ প্রদর্শিত হবে ফিরা গ্রান ভিয়া’র হল ১-এ, স্ট্যান্ড ১সি৫০ -তে। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন - https://carrier.huawei.com/en/events/mwc2021। 
শেষ –

বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ তানভীর আহমেদ, সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। 
tanvir.comms@huawei.com, ০১৭১১০৮১০৬৪

হুয়াওয়ে:
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৯৪ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে। 
শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প, টেলিকম অপারেটর এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে ’ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন পূরণে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিভিন্ন সিএসআর কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষেত্রেও নানান অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। অগ্রযাত্রার পথে, বাংলাদেশের সাথে এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন হুয়াওয়ের ওয়েবসাইট www.huawei.com এবং যুক্ত থাকুন আমাদের ফেইসবুক পেইজে https://www.facebook.com/HuaweiTechBD/
  
আরো জানতে:
http://www.linkedin.com/company/Huawei 
http://www.twitter.com/Huawei 
http://www.facebook.com/Huawei
http://www.youtube.com/Huawei
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত