বেসরকারিভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছে সরকার, ফি ৭০০ টাকা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২১, ১০:১১ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৮

করোনাভাইরাস শনাক্তে বেসরকারিভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছে সরকার। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই পরীক্ষা করানোর খরচ ৭০০ টাকায় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।

আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই এই অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফল পাওয়া ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে।

বাংলাদেশে বর্তমানে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাসের বেশিরভাগ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ফল পেতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় লাগলেও তা সবচেয়ে নির্ভুল বলে স্বীকৃত।

অ্যান্টিজেন টেস্টে নাক কিংবা মুখবিহ্বরের শ্লেষ্মা ব্যবহার করা হয়, আরএনএ বিশ্লেষণের পরিবর্তে এখানে ভাইরাসের প্রোটিন শনাক্ত করা হয়। আবার রক্ত পরীক্ষা করেও অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর হয়ে গেছে। “ফাইলে ফাইনাল সই আমি করেছি গতকাল। প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে দুয়েকদিনের মধ্যেই।”

তিনি বলেন, “নীতিমালা বেশ কিছুদিন আগেই দেওয়া হয়েছিল। তবে কিটের প্রাইসিং ঠিক করা ছিল না। এবার প্রাইস ৭০০ টাকা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এটা ডিজি হেলথ থেকে প্রপোজাল এসেছে।

“যাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হবে, তারা অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে পারবে। তবে ভালো মানের হাসপাতালই অনুমোদন পাবে। সবাইকে অনুমোদন দেওয়া হবে না।”

গত বছর দেশে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর শুধু আরটি-পিসিআর পরীক্ষাই চলত। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করে সরকার।

মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঘটনায় এখন বেসরকারি হাসপাতালেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

গত ১১ মার্চ স্থানীয় সরকার ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি স্টেটের নীতিমালা অনুমোদন করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

গত ১ জুন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নামসহ মূল্য নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞার স্বাক্ষরে পাঠানো ওই প্রস্তাবে বলা হয়, কোভিড মহামারীর সময় আরটিপিসিআরের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা খুবই জরুরি। সরকারিভাবে ১০০ টাকায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি খাতে এই টেস্ট চালু করা খুবই জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে বায়োসেন্সর এবং প্যানবায়ো নামে দুটি কিটের। এসব কিটের আনুমানিক মূল্য ৫০০ টাকা। এই মূল্যের সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের অন্যান্য খরচসহ পরীক্ষাটির সর্বোচ্চ মূল্য ৭০০ টাকা করা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত