বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে কুয়েটে ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রামের
প্রকাশ: ৯ মার্চ ২০২৩, ১৬:১৮ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯
কুয়েট থেকে রিক্রুটমেট প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক
ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাউথ এশিয়া হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ, ওমর হায়দার মুশফিক আহমেদ, মো. খালিদ হোসেন ও পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার মো. তৌফিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। এ বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার এইচআর ডিরেক্টর হুয়াং বাওশিওং বলেন, “১৭০ টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে কাজ করার মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছে হুয়াওয়ে। বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ের দুই লাখ কর্মী রয়েছে; এবং এক্ষেত্রে সবসময়ই স্থানীয় মেধা ও মানবসম্পদের ওপরে গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশ অফিসে স্থানীয়ভাবেনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা এখন ৮০ শতাংশ এবং কর্মী তালিকায় আমরা সবসময় এই অনুপাত বজায় রাখার চেষ্টা করি। এছাড়া, আমরা প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ দিয়ে থাকি। এটি হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞদের সাথে নতুনদের সমন্বয় করতে সাহায্য করে। অপরদিকে, সদ্য স্নাতক শেষ করা গ্র্যাজুয়েটরাও সর্বাধুনিক জ্ঞান ও বহুজাতিক কর্মপরিবেশের মধ্য দিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।”
এ উদ্যোগ সম্পর্কে কুয়েটের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ে কেবল আইসিটি সরঞ্জাম ও সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে,
এমনটা নয়; বরং উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নে বিস্তৃত বিনিয়োগ ও সুবিশাল টিমের মাধ্যমে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও মেধার মূল্যায়ন করার মাধ্যমে তারা দেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে এখানে এসেছে এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারে উন্নতি করার মতো যথেষ্ট আকাঙ্ক্ষা ও যোগ্যতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সমাজ ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।” কুয়েটের সিএসই, ইইই ও ইসিই – এ তিনটি বিভাগ থেকে ২শ’ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের আওতায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিতরা খুব শীঘ্রই হুয়াওয়েতে যোগদান করবে। ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করা হুয়াওয়ের একটি নিয়মিত উদ্যোগ। পাশাপাশি, তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন, সিডস ফর দ্য ফিউচার ও আইসিটি একাডেমির মতো
বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে হুয়াওয়ে। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির অংশ।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত