বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড রহস্যজনক ছিল: মেজর হাফিজ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৫০ |  আপডেট  : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:০০

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড রহস্যজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে এটি। বিডিআর হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত ড. এ কে এম‌ শামসুল ইসলাম।

মেজর হাফিজ বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। কমিশন গঠন করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন করে তদন্ত করার উদ্যোগ নেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নৈতিক বল ভেঙে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে এই হত্যাকাণ্ড। এতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বসহ অনেকেই জড়িত। বিডিআর প্রধান শাকিল সেনাপ্রধানের কাছে সাহায্য চাইলেও পাঠায়নি সেনাবাহিনী। বিদ্রোহের কথা শুনলে বিদ্রোহ দমন করা সেনাকর্মকর্তার দায়িত্ব। সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ডের পরপরই সাঁজোয়া যানসহ মিলিটারি অ্যাকশনে যাওয়ার কথা থাকলে সেনাপ্রধান ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার করতে দেয়নি। সরকারপ্রধানের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সুবেদারকে বাহিনী প্রধান করার নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, সরকারপ্রধান ও সরকারি দলের যোগসাজসেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েকটি কমিশন করলেও সেগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। সেনাবাহিনীর ইনকোয়ারির রিপোর্টটিও অন্ধকারে রয়ে গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পরিণতির কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জেনারেল মঈনের কারও কাছ থেকে কোনো নির্দেশের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও ব্যবস্থা নেয়নি। সেনাবাহিনীর মনোবল ধ্বংস করতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। শেখ হাসিনা অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করলে সেখানে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা ৫০-৬০ জন অফিসারকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত