বিজিবিকে মেরে মহিষ ছিনতাই, ১২ জনের নামে মামলা
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩২ | আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৫
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিজিবি সদস্যদের মারধর করে দুইটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে মহিষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
বিজিবির রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ি বিশেষ ক্যাম্পের হাবিলদার শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মৃত মুলুকজানের ছেলে আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত নজর আলীর ছেলে বাবলু (৫০), তার ছেলে ডলার (৩২), একই গ্রামের তসলিমের ছেলে নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে হামিদ (৩৫), একই গ্রামের আব্দুল হাই টুনুর ছেলে জনি (৩৫), তার ভাই টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মৃত ক্লাইভের ছেলে মো. জনি (৪০) ও পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের বায়েজিদের ছেলে সিজার (৩০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা খবর পান নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাইপথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছেন। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যান। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে আনছিলেন। আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাধা দেন। তারা হুমকি দেন, ‘মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে’। একপর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কা দেন এবং কিল-ঘুষি মেরে টেনে-হিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এ মামলা করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে মামলার বাদী বিজিবির হাবিলদার শাহ আলম বলেন, আমরা তথ্যের ভিত্তিতে টহলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দুটি মহিষ উদ্ধার করে আনার সময় কয়েকজন লোক বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে আমাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক তারা মহিষগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা দানেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। আমরা শুধু মামলাটি রেকর্ড করেছি। বিজিবিই মামলাটি তদন্ত করবে।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত