বিচিত্র কুমার এর ৭টি বৈশাখী ছড়া

বৈশাখ এসেছে

আমার বাউল মন গান গেয়ে যায়
একতারা সুর হাতে,
আঁধার কেটে আসবে সুদিন
নতুন প্রভাতে।

তোরা সব শাঁক শঙ্খ বাজা
উলুর জোগাড় দে,
নতুন রঙে রাঙিয়ে আজ
বৈশাখ এসেছে।

এলে বৈশাখ

রঙে ঢঙে সাজে খুকু
এলে বৈশাখ,
বুলবুলিরা গান গায়
বাজে ঢোল বাজে শাঁক।

আলতা ফিতা চুরি পড়ে
খুকু রঙিন শাড়ি
উৎসবতে ভরে উঠে
সবার যেন বাড়ি।

বানরেরা নাচে বনে
গাছের ডালে ডালে,
দোয়েল টিয়া ময়না শ্যামা
উড়ে পাখনা মেলে।

মৌমাছিরা রঙ মেখে
পড়ে ফুলে ফুলে,
প্রজাপতি নিত্য করে
নাচে আর দোলে।

খুকুমণি

খুকুমণি আর কেঁদো না
মেলাই নিয়ে যাব,
হরেক রকম খোলনা সব 
তোমায় কিনে দিব।

বউ পুতুল হাতি ঘোড়া
আরো কত্ত কি,
বানোর নাচ পুতুল খেলা
বলো দেখবে নাকি।

কিনে দিব আলতা ফিতা
কালকে মেলাই যাব,
মন্ডা মিঠাই দুজন মিলে
কিনে কিনে খাব।

শুভ নববর্ষ

নতুন সূর্যে নতুন আলো
নতুন দিন আসুক ভালো,
নতুন সুরে নতুন গানে
নতুন বর্ষ কাটুক ভালো।

এই আশাতে এই বিশ্বাসে
কাটুক বিষাদ আসুক হর্ষ
প্রতিটা দিনে প্রতিটা ক্ষণে
সমৃদ্ধ হক শুভ নববর্ষ।

বৈশাখ এলে

বৈশাখ এলে খোকা-খুকি
শাড়ি পাঞ্জাবী পড়ে,
নদীর মাঝি তরীয় বসে
নতুন গান ধরে।

মানব মুখে দেখা যায়
মিষ্টি ফুলের হাসি,
গ্রাম-শহরে মেতে উঠে
আনন্দ রাশিরাশি। 

বৈশাখ এলে বসে মেলা
নাগরদোলা লাঠি খেলা,
বানোর নাচ পুতুল খেলা
খোকা-খুকির কাটে বেলা।

ফুটবে আলো

খুশির একটা ঢল নেমেছে
শুভ নববর্ষে,
মেলা বসেছে গ্রামে-গঞ্জে
আনন্দ আর হর্ষে।

খোকা পড়েছে পাঞ্জাবী
খুকি পড়েছে শাড়ি,
পান্তা-ইলিশ খেতে যাব
এসো তাড়াতাড়ি।

রঙ লেগেছে মনে মনে
রঙ লেগেছে বনে,
আঁধার কেটে ফুটবে আলো
এমন খুশির দিনে।

কালবৈশাখী

নীল আকাশে মেঘ জমেছে 
দমকা হাওয়া বয়,
চিকমিকিয়ে বিজুলি নাচে 
মনের ভিতর ভয়।

দূর গগনে দেয়া ডাকে
বুক দুরুদুরু করে,
পাখিগুলোও প্রাণের ভয়ে
নিজ বাসাতে ফিরে।

উড়িয়ে ধুলো শুকনো পাতা
ভাঙ্গে গাছের ডাল,
একপলকে উড়িয়ে যায়
কুঁড়ে ঘরের চাল।